বাকি আর মাত্র ৬ দিন। ১৪ এপ্রিলের পর ভারতের লক ডাউন কী উঠবে নাকি আরো বৃদ্ধি করা হবে সময়সীমা? আপাতত চারদিকে এ নিয়ে তুমুল চর্চা চলছে। তবে লকডাউন উঠলেও জনগণ কতটা স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারবে? অথবা মানুষ কতটুকু সাবধানতা অবলম্বন করে চলাফেরা, কাজকর্ম করবেন? এ সমস্ত বিষয় নিয়ে মহলে আলোচনা তুঙ্গে।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্য লকডাউন বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছে। তবে এ অবধি লকডাউনের বিষয়ে কোন নিশ্চিতি প্রদান করা হয়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়া অথবা মুখে মুখে অপপ্রচারে কান না দেওয়া সমুচিত। কারণ আগামি ১৩ এপ্রিল ক্যাবিনেট বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সিদ্ধান্ত সে সময়ই নেয়া হবে।
লক ডাউন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন,
“লক ডাউনের ক্ষেত্রে ক্যাবিনেট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সুতরাং রাজ্য সরকার কিংবা অসম সরকার এ বিষয়ে কোন নীতি-নির্দেশনা দেবে না। ডেপুটি কমিশনারদেরও রাজ্য সরকার কোনপ্রকার নির্দেশ দেবে না।”
তিনি আরো বলে, “যেহেতু গত ১ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের লকডাউন চলছে, রাজ্য সরকারের নয়, সেজন্যে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি-নির্দেশ মান্য করে চলতে হবে। এবং এই সমস্ত পালন করার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার যদি নির্দেশ দেন যে, অমুক কারখানা খোলা যাবে, কিন্তু কার্যত সেখানে বিশৃঙ্খলতার সৃষ্টি হবে। তখন জেলা শাসকরা কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ দিলেও যে পর্যন্ত সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেলাতে পারবেন না, তখন পর্যন্ত লকডাউন খোলা উচিৎ হবে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যদি বলে, নির্দিষ্ট এই দোকানটি খোলা যাবে, অন্যদিকে জেলা শাসকরাও যদি ভেবে থাকেন, এবং তাঁদের আত্মবিশ্বাস থাকে যে, আমরা এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হবো। তখন আপনারা খুলতে পারেন।”
তবে লক ডাউন খুললেও ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দুটো শর্ত অবশ্যই মেনে চলার কথা উল্লেখ করেছেন,”একটি কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি মেনে চলতে হবে। অপরটি সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে চলতে হবে।”
লক ডাউন সম্পর্কে ১৩ এপ্রিল সকালে ক্যাবিনেট বৈঠক হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, গত ২৪ মার্চ ৩ সপ্তাহের জন্য সারা দেশে লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর ৬ দিন পর আগামী ১৪ এপ্রিল সেই লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও ইঙ্গিত নেই। ১৪ এপ্রিলের মধ্যে সংক্রমণ পুরোপুরি কমে যাবে, তেমন নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতি লকডাউন পুরোপুরি তুলে নিয়ে সব কিছু স্বাভাবিক করে দিলে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। এ মুহূর্তে ভারতে করোনা রোগির সংখ্যা ৫ হাজার অতিক্রম করেছে! অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে এই সংক্রমণ।