সুস্থ মানুষ, সতর্ক মানুষ! যারা জীবনে নিজে সতর্ক থেকে সতর্ক এবং সাবধান করতে চান অন্যকেও, তাঁদের জীবন যথেষ্ট ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছেন বিদেশ ফেরতরা।
এমনই আরো এক ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে অসমের হাইলাকান্দিতে।
করোনার গর্ভগৃহ চিনে উক্ত যুবক পড়াশুনা করছিলেন। সেখানে ভাইরাসের ভয়ংকর চেহারা নিতেই হাইলাকান্দি নিজের বাড়িতে চলে আসে্ন তিনি।
কিন্তু করোনার ভয়াবহতার বিষয়ে সমস্ত কথা জেনেও বিদেশ থেকে এসে তথ্য গোপন রেখে কোন কোয়ারেন্টাইন ছাড়া বসে ছিলেন ঘরে চুপচাপ নির্বিঘ্নে।
এমন পরিস্থিতিতে আতংকিত জনগণ খবর দেন জেলা প্রশাসনে।
সঙ্গে সঙ্গে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন প্রশাসনের বিশেষ দল।
সোমবার বিকেলে তাঁর বাড়িতে গিয়েও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর মাঠে নামে পুলিশ।
কবজা করা হয় অবাধ্য সে হাইলাকান্দির যুবককে।
অত্যন্ত আশ্চর্যজনক তিনি হাইলাকান্দিতে স্ক্রিনিং করাতে কোনমতেই রাজি হননি।
শীঘ্রই তাঁকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে তাঁকে মেডিকেলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
আসামি হিসেবে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
ভয়ংকর এই তথ্য গোপন করা এবং পরে পালিয়ে বেড়ানোর অভিযোগে মামলা করা হয়েছে যুবকের বিরুদ্ধে।
মামলায় তাঁর বাবাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তথ্য গোপন করার জন্যে যুবকের বাবাকে সরকারি চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। তার সমস্ত ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।