করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে। সে কারণে সচেতনতায় জোর দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
জনবহুল এলাকা, বিশেষ করে যেখানে বহু মানুষ এক সঙ্গে সমবেত হয়, এমন স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ফুটবল-ক্রিকেট-টেনিস এর মতো প্রতিযোগিতামূলক খেলাধূলাও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সিনেমা হলগুলো।
বাংলাদেশে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে না পারে সেই ব্যাপারে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ট্রেন, বাস ও লঞ্চন ঘাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জীবাণুনাশক স্প্রে করছে।
এছাড়াও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পথচারীদের জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ঢাকার বিভিন্ন সড়কের পাশে বেসিন স্থাপনের পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জল এবং ওয়েট টিস্যুর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ছাড়াও করোনা নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে লিফলেট এবং ব্যানার তৈরি করা হয়েছে। মাস্ক তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন গার্মেন্টসে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনে কিছু জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এমনকি আন্তঃজেলা বাস চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করা হতে পারে। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।