‘বউত হষ্ট পায়য়ি, আর হষ্ট পাইতো ন চাই। আরা এহন সংখ্যায় বেশি’। উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি হুমকির সুরে জানায় এ কথা।
পরিস্থিতি এখন আমূল পালটে গেছে। বাংলাদেশের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের দাপটে স্থানীয়রা এখন সংখ্যালঘু। দিন-রাত তাঁদের কাটছে আশংকায়।
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা । ২০১৭ সালে মায়ানমার সেনার ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’এ প্রায় ৩০০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়। তখন মায়ানমারের রোহিঙ্গার ৪০% বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
এছাড়া এর আগে-পরে মায়ানমার সেনার অত্যাচারে পালিয়ে আসা প্রায় ১১/১২ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ইদানীং রাশিয়াও ঘোষণা করেছে রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনের জন্যে বাংলাদেশ-মায়ানমারকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা করতে হবে। কিন্তু রোহিঙ্গারা বর্তমানে ক্রমশ বেপোরোয়া হয়ে উঠছে। বিভিন্ন অবৈধ কারবারে জড়িয়ে পড়ছে তারা।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ নিরাপত্তা কমিশন। সোশ্যাল মিডিয়াতে রোহিঙ্গারা রীতিমতো হুমকি দিচ্ছে যে, মায়ানমারে তাদের জোর করে ফেরত পাঠাতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতর ভেঙে ফেলবে। তারা নির্ভয়ে এখন স্বীকার করছে যে, রোহিঙ্গা সদস্য সংখ্যা এখন অধিক, তাই এখন প্রতিশোধ নিতে সমর্থ।
প্রতিদিনের সংবাদ এর এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের মনের কথা। সে জানিয়েছে, ‘ইয়ান আরার, বাংলাদেশ আরারে তাড়াই দিয়ে। আরা আর ন’ জাইয়ুম’। অর্থাৎ তারা আর কখনো মায়ানমারে ফিরে যেতে রাজি নয়।
পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছে, রোহিঙ্গাদের কব্জায় আনা অসাধ্য হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গাদের প্রতিটি অলি গলিতে রয়েছে ধারালো আগ্নেয়াস্ত্র, দা–ছুরির দোকান। রোহিঙ্গারা এইসমস্ত অস্ত্র ব্যবহার করছে। র্যাবের অভিযানে ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করা হয় ধারালো সব অস্ত্র।
প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে, নয়াপাড়া ক্যাম্পের পেছনের পাহাড়ে রোহিঙ্গাদের দু গ্রুপ নেতা আবদুল হাকিম এবং মো হাসান। গত মাসে তাঁদের হাতে খুন হয় ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মোহাম্মদ ইলিয়াস।
গুণ্ডা রোহিঙ্গাদের ত্রাশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উখিয়া–টেকনাফসহ গোটা কক্সবাজারের মানুষ।