ঢাকার বাইরে সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে গাজিপুরে। রাজধানীর উত্তরা, আগারগাঁও ও যাত্রাবাড়ীতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চলছে।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) থেকে গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্টের আবেদন জমা নেওয়ার জন্য সব ধরনের সরঞ্জাম বসানোর কাজ আরম্ভ হয়েছে।
প্রযুক্তিগত সমস্ত বিষয়গুলো চেক করতে মোটামুটিভাবে দু’দিন সময় লাগবে। পরে ই-পাসপোর্টের জন্য সেন্ট্রাল সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। আনুষঙ্গিক কাজগুলো শেষ করে এই সপ্তাহেই গাজীপুর থেকে ই-পাসপোর্টের আবেদন জমা নেওয়া হবে।
গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. সালেহ উদ্দিনের জানানো তথ্যানুযায়ী, ঢাকার পরেই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন গাজীপুরবাসী।
ই পাসপোর্ট সম্বন্ধে খুঁটিনাটিগুলো জেনে নেয়া যাকঃ
বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদের সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা।
# জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা
# অত্যন্ত জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা
#১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা
#জরুরি ফি ৭০০০ টাকা
#অতি জরুরি ফি ৯০০০ টাকা।
এছাড়াও বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা এবং খুব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৭০০০ টাকা, জরুরি ফি ৯০০০ টাকা ও অত্যন্ত জরুরি ফি ১২০০০ টাকা।
উল্লেখযোগ্য যে, নয়া পাপোর্টের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরির জন্যে ৩ দিনে, জরুরিতে ৭ দিনে এবং সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট হাতে আসবে ২১ দিনের মধ্যে।
এদিকে যারা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট অথবা পুরনো পাসপোর্ট রি-ইস্যু করবেন তাঁদের ক্ষেত্রে অতি জরুরির জন্যে ২ দিনে এবং জরুরি পাসপোর্ট ৩ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।