উদ্বোধন হলো আগরতলা ৩৮তম গ্রন্থমেলার।
বইমেলার উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
“বই হচ্ছে মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় বন্ধু। ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির বিচ্ছেদ হতে পারে, কিন্তু বইয়ের সঙ্গে নয়।” হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গনে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী এমন ভাবেই বইয়ের প্রতি পাঠকের মনোযোগ আরো বৃদ্ধি করার চেষ্টা করলেন।
মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছেন জনসাধারণকে। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরাকে রোল মডেল রাজ্যে পরিণত করার এটি আরো একটি উদ্যোগ/ পদক্ষেপ।’
বইমেলা হলো প্রাণের মেলা। বিশেষত বাঙালির। বাঙালির দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা সংস্কৃতির ধারক-বাহক বইমেলা। একসঙ্গে উৎসব আনন্দ আর জ্ঞানের সমন্বয় আর কোনো আয়োজনে বুঝি হয় না। বইমেলা তাই আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গেই মিশে গেছে।
বইপ্রেমীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে অংশগ্রহণ করবেন, মুখ্যমন্ত্রী এই আশা। নতুন বই নতুন লেখক কবির মিলনস্থল এই বইমেলা। পুরোনো পাঠকদের সঙ্গে যোগ হয় নতুন প্রজন্মের বইপড়–য়া পাঠকরা। এই পরিবেশ দেশের সাহিত্য সংস্কৃতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে, অনুপ্রেরণা জোগায়।
বইমেলার কেন্দ্রবিন্দু হলো বই। যুগ যুগ ধরে যা জ্ঞান বিতরণের মহাদায়িত্ব পালন করে আসছে। মানবসভ্যতার ইতিহাসের সঙ্গে বদল হয়ে বইয়ের ধরন। কিন্তু বদলায়নি বইয়ের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। নতুন-পুরোনো লেখক-কবি-প্রকাশক, মেলার দর্শক সবাই উপস্থিত হয়। বইমেলায় আসা থেকে শুরু করে বই বিক্রি করাই শেষ কথা নয় অথবা মেলার সার্থকতা নয়। মিলনমেলায় সবাই একত্র হওয়াটাও উদ্দেশ্য।