সম্পর্ককে নতুন সংজ্ঞায় বাঁধতে চলেছেন বাংলাদেশের প্রতিভাবান ক্রিকেটার সৌম্য সরকার।
প্রেমিকা পূজার (প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজা) সঙ্গে আজ বুধবার মধ্যরাতে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন সৌম্য।
খুলনা ক্লাব মিলনায়তনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
আসুন দেখে নিই পূজা-সৌম্যর প্রেমের মিষ্টিমধুর বার্তালাপ কেমন ছিলঃ
সাত পাঁকে বন্দী হওয়ার পূর্বে নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেছেন কিছু অম্লান মুহুর্ত!
পূজা: “আমার বোনের রিসিপশনের দিন ও আমাকে প্রপোজ করে। একদম ভোরবেলা, ভোর ৪টা ১৪-তে সে আমাকে প্রপোজ করে। (সৌম্য জানান সালটা ছিল ২০১৬। তখন প্রিয়ন্তি বলে ওঠেন, ‘ও আপনার মনে আছে? আমি আপনাকে পরীক্ষা করছিলাম!’)
প্রথম দিকে আমার খেলা সম্পর্কে খুবই অল্প ধারণা ছিল। আমার সঙ্গে খেলা নিয়ে সব সময় একটা জিনিসই আলোচনা হতো। যখনই সে ভালো কিছু অর্জন করে আসত মাঠ থেকে, সেটা আমার সঙ্গে শেয়ার করত। আর চিঠি লেখার ব্যাপারটা তখন থেকেই শুরু হয়।
যখন তার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়, তখন আমার হাতে ছোট একটা স্ট্যাচু ছিল, নেপাল থেকে এনেছিলাম। তখন আমি ভাবলাম, ওকে এটা দেই। পরের বার যখন তার সঙ্গে আমার দেখা হলো, সে আমাকে অনেক চকলেট দেয়। এরপর লিপস্টিক দেয়, কারণ আমি লিপস্টিক ভালোবাসি। সে খুবই সুইট ছিল। আমাদের মধ্যে সে রকম ঝগড়া হয় না। ঝগড়া এখন পর্যন্ত বেশিক্ষণ টেকেনি। ঝগড়া হয়, একটু পর ঠিক হয়ে যায়।
সৌম্য: সে যখনই আসে, আশা করে, আমি সঙ্গে সঙ্গে বলব তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে। আমি তা কখনোই বলি না তাকে। এই জিনিসটা নিয়ে সে সারাক্ষণ আমার সঙ্গে কথা বলতেই থাকে।
পূজা: সামনা সামনি দেখার আগ পর্যন্ত সব সময় ছবিতেই দেখা হয়েছে। সামনে যখন আমি তাকে দেখি, এটা পুরোপুরি ভিন্ন ছিল। কারণ সামনা সামনি সে হ্যান্ডসাম। আর সে লম্বা, এটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে ভালো মানুষ। (সৌম্যকে উদ্দেশ্য করে- ‘আমিও তো ভালো, একটু ভালো কথা তো বলতে হয় মাঝেমধ্যে।’)
আর অন্যতম একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, আমার ওর প্রতি ভালো লাগার শুরুটা হচ্ছে, সে তার মাকে ভালোবাসে- এটা দেখার পর। এটা আমার হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। যে তার মাকে এত বেশি ভালোবাসে, সে তার জীবনসঙ্গীকে আরও বেশি ভালোবাসবে, রেসপেক্ট করবে। এটা আমাকে তার প্রতি খুবই আকর্ষণ করেছে।”
আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা জেলা শহরের অদূরে একটি বাগানবাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।