করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত চীনের পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সহমর্মিতামূলক সহায়তা হিসেবে চিনের জন্য মাস্ক, গ্লাভস, গাউন, ক্যাপ ও স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।
পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণহানির ঘটনায় শোক ও সমবেদনা জানিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ যে কোনো ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত। চিনে বাংলাদেশি নাগরিকদের সঠিকভাবে সেবা প্রদানেরও প্রশংসা করেন হাসিনা। চিন দ্রুতই এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবে আশা করেন তিনি। চিঠিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে নিমন্ত্রণও জানানো হয়েছে।
সিঙ্গাপুর ছাড়া আর কোথাও বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যে ৩১২ জন চীন থেকে ফেরত এসেছে, তারা সবাই সুস্থ আছেন। তারা বাসায় ফেরত গেছেন। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের হাতে ওই চিঠি ও স্বাস্থ্যসামগ্রী হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য কমবে কিনা, এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সাময়িক সমস্যা হতে পারে। কিন্তু বড় কোনো ঝামেলা হবে না। এদিকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় বাংলাদেশকে চীন ৫০০ কিট দিচ্ছে।
বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিনের রাষ্ট্রদূত লি জানিয়েছেন, তাঁর বিবেচনায় করোনার কারণে বাণিজ্যে কোন প্রভাব পড়বে না। লি বলেন, আমি অনেক সান্ত্বনাসূচক চিঠি পেয়েছি এবং স্থানীয় সংস্থা ও মানুষের কাছ থেকে অনুদান পাচ্ছি। চিনে নববর্ষ ছুটি দীর্ঘায়িত করা হয়েছিল এবং এখন চাইনিজরা কাজে ফেরত যাচ্ছেন।