শিল্প; সংস্কৃতির স্থানগুলো যে পরিমাণে দখল করে নিচ্ছে প্রতিবাদী কার্য, তাতে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন মুক্তচিন্তক মহল।
শনিবার কলকাতা বইমেলায় সিএএ বিরোধি প্রতিবাদ আরম্ভ করে নো এনআরসি মুভমেন্ট’ সংগঠনের কিছু প্রতিবাদী এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়া।
গতকাল বিকেলে বিজেপির মুখপত্র জনবার্তার স্টলের বাইরে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিরোধী পড়ুয়াদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় গরম হয়ে ওঠে বিধাননগর উত্তর থানাও।
প্রতিবাদ কোন গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ নয়। রীতিমতো সহিংস হয়ে ওঠে প্রত্যেকে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই থানার ভিতর এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবলকে চুলের মুঠি ধরে নৃশংসভাবে মাটিতে ফেলে পেটায় বেশ কয়েকজন সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারী।
বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা বলেছেন, “সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার জন্যে। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। এমন অশ্লীল, সহিংস, অগণতান্ত্রিক প্রতিবাদ কখনো কাম্য নয়।”
বিশাল পুলিশ বাহিনী গ্রন্থমেলায় ঢুকে পরিস্থিতি সামাল দেয়।শুধু তাই নয়, ঘটনার জেরে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় বইমেলার সাত নম্বর গেটও।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বইমেলার অশান্তি প্রসঙ্গে জানান, ‘এই অতিবামরা গোটা দেশেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। খবরে থাকার জন্য ওরা কোনও কিছু করতেই পিছপা হচ্ছে না। তাই ওদের গুরুত্ব দেওয়ার কোনও মানেই হয় না।’
উল্লেখযোগ্য যে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের জের ধরে গোটা ভারতকে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ সহিংসতার আখড়ায় পরিণত করেছে!
বিশেষত, গ্রন্থমেলার মতো এমন মিলন; প্রাণের মেলায় অশ্লীলতা, সহিংসতা আশা করেননি কোন বইপ্রেমী। রীতিমতো এদিন আতংকিত হয়ে পড়েছেন তাঁরা।