মারাত্মক করোনা ভাইরাস নিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অসমে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে।
ভারত সরকারের স্বাস্থ্যবিভাগের তরফ থেকে যে সমস্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী অসমের স্বাস্থ্যবিভাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে উক্ত ভাইরাস প্রতিরোধের জন্যে।
বিমান বন্দরে ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি হয়েছে। যেসব ফ্লাইট চীন থেকে আসছে সেসব ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্যানিং করা হচ্ছে।
গুয়াহাটি বরঝাড় বিমানবন্দরে চিকিৎসকের দল রয়েছেন, এ কথা জানা গেছে। পাশাপাশি একটি আইসোলেশন কক্ষও প্রস্তুত করা হয়েছে।
অসমের মন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, “অসমে যদিও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোন রিপোর্টিং নেই, তথাপি আগেভাগে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে।”
উল্লেখযোগ্য যে, গত ডিসেম্বরে উহান শহরে প্রথম যে সংক্রমণের ঘটনা ঘটে, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তাকে করোনাভাইরাস বলে শনাক্ত করেছিল।
এদিকে সব মিলিয়ে চিনের মূল ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৩ জনে।
আজ, শুক্রবার চিনের উহান শহরে আটকে থাকা ৩২৫ জন ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা হবে দেশে। দুপুর ১২.৫০-এ দিল্লি ছেড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার জাম্বো জেট বিমান, বোয়িং ৭৪৭।
আজই রাত ২টোর সময় উহান থেকে নয়াদিল্লি পৌঁছনোর কথা বিমানটির।
ঘাতক করোনাভাইরাসের আক্রমণে রোজ বাড়ছে মৃত্যুমিছিল। হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, ঠাঁই নাই দশা হাসপাতালগুলোয়। পথেঘাটে পড়ে মৃতদেহ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিষেধকের খোঁজ মেলেনি। কীভাবে রোগি আরোগ্য লাভ করবে, তা নিয়ে সন্দিহান চিকিৎসকের দল।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সারা বিশ্বে জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।