আজ ২২ জানুয়ারি সর্বোচ্চ আদালতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে জমা পড়া ১৪৪টি পিটিশনের শুনানি হতে চলেছে ৷
প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হবে ৷
নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সারা দেশ অস্থির হয়ে উঠেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অসম, ত্রিপুরা প্রতিবাদী কার্যসূচীতে ভয়ানক আকার ধারণ করেছিল। তবে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত বর্তমান।
এদিকে আজ, ২২ জানুয়ারি সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করার জন্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সিএবি সংসদে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভ করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে পরিণত হয়েছে।
এদিকে এই আইনের বিরুদ্ধে অধিকাংশ পিটিশনে CAA আইন তুলে দেবার দাবি জানানো হয়েছে ৷ পিটিশনগুলিতে CAA বেআইনি এবং ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল AIMIM কংগ্রেস, DMK, CPI, CPI(M), ও কমল হাসানের দল MNM সহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের তরফেও পিটিশন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে ৷
এদিকে সিএএ-র স্বপক্ষে লক্ষণৌর এক সভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদব, রাহুল গান্ধী, মায়াবতীদের মঙ্গলবার তুলোধুনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তিনি সরাসরি আক্রমণ করে জোরদারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, মমতা ব্যানার্জীরা যতই সিএএ-র বিরোধিতা করুন না কেন,নাগরিকত্ব আইন ফেরানো হবে না। এটাই চূড়ান্ত এবং শেষ কথা।
লক্ষ্ণৌ-এর সভামঞ্চ থেকে অমিত জি বলেন, বিরোধি দলের নেতা-মন্ত্রীরা প্রত্যেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সুরে কথা বলছে। এঁদের ভাষা আর খানের ভাষার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।