যার যত বিরোধ করার করুন, করতে থাকুন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ফিরিয়ে নেয়া হবে না। লক্ষ্ণৌ থেকে শেষবারের মতো জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।
মোদিজি যা করেছেন, ভালোর জন্যে করেছেন। নিপীড়তদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। এতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সুরে সুর মেলাচ্ছে মমতা ব্যানার্জী, রাহুল গান্ধী, মায়াবতী, অখিলেশ। ইমরান খানের ভাষা এবং তাঁদের ভাষার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
লক্ষ্ণৌ থেকে চরম তোপ দাগলেন বিরোধি দলের নেতা-নেতৃদের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
“বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের শরণার্থীদের জন্যে জন্যে ভারতের দুয়ার সবসময় খোলা। কংগ্রেসের মতো ভোটব্যাংকের রাজনীতিতে লিপ্ত নয় বিজেপি।”
শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পেতে চলেছেন, এটি অত্যন্ত সুখের বিষয়। আপনার (মমতা) কোথায় অসুবিধা হচ্ছে? কেন হচ্ছে?
এতদিন বিরোধী নেতারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিতর্কে বসার জন্যে। মঙ্গলবার পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন শাহ। লখনউয়ের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ক্ষমতা থাকলে জনসমক্ষে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিতর্কে বসুন।”
অখিলেশ, মায়াবতী, মমতা ব্যানার্জী এঁদের অভ্যাস হয়ে গেছে বিরোধিতা করা।
কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা প্রসঙ্গও উল্লেখ করে অমিত শাহ এদিন বলেন, সে সময়ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী মুখ ফিরিয়েছিলেন।
অমিত শাহ বলেন, “বিরোধিরা ভোট ব্যাংকের স্বপ্নে মশগুল। তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন না কারণ তাঁদের চোখে রয়েছে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির চশমা।”
এদিন উত্তরপ্রদেশের বিজেপির তরফে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে এই সমাবেশ ডাকা হয়েছিল। সভামঞ্চে শাহ বলেন, “প্রতিদিন কংগ্রেস, তৃণমূল, এসপি, বিএসবি মিথ্যে কথা বলছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আমি আপনাদের নিশ্চিন্ত করছি, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। এই আইন সে জন্য তৈরি হয়নি। এটা উদ্বাস্তু মানুষকে সম্মান দেবে।
সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী “আমাদের যত গালি দেওয়ার দাও, বিজেপিকে যত গালি দেওয়ার দাও। কিন্তু ভারত মাতার গায়ে এতটুকু আঁচ লাগলে ছেড়ে কথা বলা হবে না।”