ভেঙে নতুন ভাবে গড়েন নরেন্দ্র মোদি। দেশবাসী আজ ফের প্রত্যক্ষ করলো সে দৃশ্য।
দেড়শো বছরে বদলে গেল কলকাতা বন্দরের নাম। বন্দরের নতুন নামকরণ হলো শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর। স্বামী বিবেকানন্দের পবিত্র জন্মদিবসে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে নাম বদলের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
“আমার প্রিয় বাংলার ভাই ও বোনেরা। ইংরেজি নববর্ষের হার্দিক শুভকামনা। এবং আসন্ন মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে আপনাদের শুভেচ্ছা।”
কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০তম বর্ষের অনুষ্ঠানে এসে মঞ্চ থেকে ভাষণের প্রথমেই পশ্চিমবঙ্গবাসীর উদ্দেশে বাংলায় শুভেচ্ছাবার্তা জ্ঞাপন করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এবং আগামি মকর সংক্রান্তির অভিনন্দনও জ্ঞাপন করতে একটুও ভোলেননি।
বক্তৃতায় বললেন, “কলকাতা বিমান বন্দরের সঙ্গে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারকেও যুক্ত করা হবে।” পোর্টের আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছে বলেই এদিন জানান প্রধানমন্ত্রী। “পোর্ট শুধু জাহাজ আসা যাওয়া করে না, এখানে অনেক ইতিহাস। সত্যাগ্রহ থেকে সচ্ছাগ্রহ দেখেছে। দেশ দুনিয়ার জ্ঞানবাহকও এই পোর্ট। ভারতের আত্মনিভর্তার প্রতীক এই পোর্ট। নিউ ইন্ডিয়ার প্রতীক বানাতে হবে এই বন্দরকে।”
“কলকাতা পোর্ট শুধু জাহাজ আসা যাওয়ার স্থান নয়, এটি একটি পুরো ইতিহাসকে ধারণ করছে। এই পোর্ট ভারতকে বিদেশি রাজত্ব থেকে স্বরাজ পেতে দেখেছে। সত্যাগ্রহ থেকে শুরু করে স্বচ্ছাগ্রহ পর্যন্ত এই পোর্ট দেশকে বদলাতে দেখেছে। দেশ ও বিশ্বে ছাপ রাখা জ্ঞানবাহকের চরণও এই পোর্টে পড়েছে। বহু মনীষী বহু অবসরে কলকাতা পোর্ট থেকে নিজের যাত্রা শুরু করেছে। ভারতের ঔদ্যোগিক, আধ্যাত্মিক এবং আত্মনির্ভরতার আকাঙ্ক্ষার জীবন্ত প্রতীক। একে নিউ ইণ্ডিয়ার প্রতীক বানানো আমাদের সকলের দায়িত্ব। আর তাই ভারতের ঔদ্যোগিকরণের প্রণেতা, বাংলার বিকাশের স্বপ্ন নিয়ে বাঁচা, এক দেশ এক বিধানের জন্যে বলিদান দেয়া ড০ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির নামে নামকরণ করার কথা ঘোষণা করছি।”
উল্লেখ্য, আজ সকালে বেলুড় মঠে স্বামীজির ঘরে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে জলপথে কলকাতা এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ধর্মতলায় নেতাজী ইন্ডোরে যান তিনি। সেখানে পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
কিন্তু এলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা ছিল রবিবার সকালে পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে দেখা যাবে মোদী-মমতাকে। তবে অনুপস্থিত তৃণমূল সুপ্রিমো। মোটেও অপেক্ষা করেননি নরেন্দ্র মোদি। কারণ তিনি যে ভেঙে গড়েন!
উল্লেখ্য, ১৮৭০ সালের অক্টোবর মাস থেকে বন্দরটি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছে।