কিছু চিত্র কথা বলে ! যা মানুষের হৃদয়ে লাগে।
চিত্র যদি কথা বলে ! চিত্র যদি বলে গল্প ! তাহলে বাংলাদেশ হচ্ছে চিত্রের মাধ্যমে কথা বলা দেশ। বাংলাদেশের লোক ও কারুশিল্পের ঐতিহ্য বহু পুরনো।
বাংলাদেশের প্রতিটি কোণে রয়েছে সাহিত্য, লোকশিল্প। মানুষের যৌথ চেতনার ফসল লোকশিল্প।
ঢাকা, চট্টগ্রামের রাস্তায় প্রতিদিন সাধারণভাবে রুটিনমাফিক যা ঘটছে, তাও মনে হয় অসাধারণ!
দেশের রাস্তায় চলছে এক মিলিয়ন রিক্সা, এবং প্রতিটি রিক্সাগুলো সুন্দরভাবে ছবির দৃশ্য, ফুল, প্রাণী, এবং আরো অনেক কিছু চিত্রিত মূর্তি দিয়ে সজ্জিত। প্রতিটি চিত্রে প্রতীয়মান হয় এক একটি গল্প। এ যেন পটে আঁকা ছবি।
রিক্সা হিসেবে পরিচিত এই তিনচাকা যুক্ত যানগুলো কেবল বাংলাদেশে পরিবহনের প্রধান মাধ্যম নয়, এটি একটি লোকশিল্পের রূপ যা বাংলাদেশের সংস্কৃতি।
রিকশার প্রতিটি ইঞ্চি হুড থেকে আসন পর্যন্ত এবং চাকার মুখগুলো উজ্জ্বল রং এবং মোটিফগুলোও আঁকা থাকে।
আর্টের এই ফর্মটি শেখানো হয় না । তবে রিকশা চালকরা তাঁদের ওস্তাদের কাছ থেকে এই শিল্পবিদ্যা আহরণ করেন।
ঢাকার ‘বংগশাল রোড’ এই চিত্র রিক্সার নির্মাণ, মেরামত এবং কারুশিল্পের জন্যে সম্পূর্ণরূপে নিবেদিত ।
তবে নাগরিক সভ্যতায় লোকশিল্প কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। এই শিল্পকলাকে দুহাতে আগলে ধরার জন্যে এগিয়ে এসেছে বিস্কুট ফেক্টরি (বাংলাদেশে)।
চমকাবেন না ! বিস্কুট ফেক্টরি কোন ধরনের খাবার বিস্কুটের ফেক্টরি নয়! এ হচ্ছে লোকশিল্প সংরক্ষণ ফেক্টরি।
বিস্কুট ফেক্টরির শিল্পী বিস্কুট এই লোকশিল্প সংরক্ষণ কার্যে স্ব-ইচ্ছায় অগ্রসর হয়েছেন।
তিন চাকার রিক্সায় আঁকা একই ধরনের পেইন্ট ডিজাইন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে ঐতিহ্যগত রিক্সাশিল্প সংরক্ষণের জন্যে কাজ করছে এই ফেক্টরি। বিস্কুট ফেক্টরি থেকে মোবাইল কভার, ব্যাগ, টি শার্ট , সজ্জিত কিছু সামগ্রী তৈরি করা হয় লোকশিল্পের সাজেই।
বিস্কুট ফ্যাক্টরির মালিক বলেন যে, ‘আপনি যখন বিস্কুট ফ্যাক্টরি থেকে সামগ্রী কিনবেন, তখন আপনি কেবল একটি পণ্য কিনবেন না, আপনি আসলে কিনবেন একটি গল্প’ !