মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে সংঘটিত হওয়া ধর্ষণকাণ্ডে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের জন্যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।
রাজ্য পুলিশের প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমো কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, এমন জঘন্য ঘটনায় ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে হবে।
উল্লেখ্য, হায়দরাবাদের ৪ ধর্ষককে আজ কাকভোরে অর্থাৎ ৩.৩০ মিনিটে এনকাউন্টার করে শেষ করেছে পুলিশ।
গত সপ্তাহের বুধবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে, হায়দরাবাদে এনএইচ ৪৪-এর ওপর পেশায় পশুচিকিৎসক ২৬ বছরের তরুণী প্রিয়াংকা রেড্ডির স্কুটির চাকা পূর্ব পরিকল্পনামাফিক পাংচার করে দিয়েছিল অভিযুক্তরা।
তার পরে এক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারে গণধর্ষকরা।
এই ঘটনার দুদিন পর অর্থাৎ শুক্রবার চার অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন ও চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশাভুলুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ দিন তদন্তের জন্য ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার কাজ করছিল পুলিশ। সেখানেই পুলিশের হাত থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয় তারা, এবং পলায়ন করতে চায়। সেই সময়েই পালটা গুলি চালিয়ে চারজনকে খতম করে পুলিশ।
তবে এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন মমতা। তাঁর মতে এই ঘটনা মোটেও আইনসঙ্গত নয়। বলেন, ‘‘এটা আইন নয়, যে আইনকে আমি নিজের হাতে তুলে নিলাম। আইন এটাই, পুলিশ তার কাজ করবে, আদালতে পেশ করবে। বিচারক বিচারকের কাজ করবেন।’’
তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা যাই বলুন না কেন, সারা দেশ কিন্তু এই এনকাউন্টারের পক্ষে বলছে যে ধর্ষককে এভাবেই হত্যা করা উচিৎ।
টলিজগত সম্পূর্ণ সমর্থন করেছে এই ঘটনার। জানিয়ে দিয়েছে, ধর্ষকের এমন মৃত্যুতে তাঁদের কোন সহানুভুতি নেই।
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র থেকে গায়িকা ইমন চক্রবর্তীর মতো অনেকের মুখেই এই রব, ‘উচিত শাস্তি হয়েছে ধর্ষকদের’।
তবে শাস্তি যাই হোক, এ শুধু গাছের মগডাল কাটা। সমাজ থেকে পুরুষতন্ত্র বিলোপ করতে হবে, বিলোপ করতে হবে নারীকে যৌনবস্তু ভাবার মানসিকতা। তাহলেই সমাজ, দেশ নারী নির্যাতন মুক্ত হবে।
কারণ যে দেশে, যে সমাজে নারী নির্যাতন হয়, তাকে কখনোই সভ্য সমাজের আখ্যা দেয়া যায় না।