বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে অত্যাচার দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। গত ১০ বছরে সারা দেশে হিন্দুদের উপরে নির্যাতনের ঘটনা মধ্যযুগকেও হার মানিয়েছে। একের পর এক হামলায় বিচার হচ্ছে না। ফলে হিন্দুদের উপরে নিপীড়ন-নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপক হারে।
গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলায় দুষ্কৃতি দখলদাররা দখল করেছে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি জায়গা।
সূত্রে জানা গেছে, কোটালিপাড়ার ডহরপাড়া গ্রামের খোকন চন্দ্র দাস ৬৯ নম্বর মোক্ষকোটালী মৌজার ২৭৯, ২৮০, ৩২৫ দাগের ৭৩ শতাংশ জায়গা দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ভোগ করে আসছিলেন।
এরপর ২০১৫ সালে খোকন চন্দ্র দাসের মৃত্যুর পর পৈত্রিকসূত্রে জায়গার মালিকানা লাভ করেন খোকন চন্দ্র দাসের দুই ছেলে বিমল দাস ও কালা চাঁদ দাস।
মঙ্গলবার অর্থাৎ ৫ নভেম্বর ডহরপাড়া গ্রামের বাচ্চু শেখ, আলাউদ্দিন শেখ এবং নজরুল ইসলাম শেখ গং এসে দাদাগিরি দেখিয়ে খোকন চন্দ্র দাসের জমি গভীর রাতে দখল করে নেয়।
শুধু দখল করাই নয় বিমল দাস এবং তাঁদের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ৭৩ শতাংশ জায়গার মধ্যে ৩২ শতাংশ জায়গা বর্তমানে নির্যাতিত পরিবারটি শেখ হাসিনা আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক আলাউদ্দিন হাওলাদারসহ ৪ জনের কাছে বিক্রি করেছিল। বাকি সম্পত্তি ছিল তাঁদের।
কিন্তু শেখ গংসহ দুষ্কৃতিরা এসে জবরদখল করে জমি। এমনকি বিমল বাবু এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে দেখা কথা বলতে গেলে পরিবারকে রীতিমতো প্রাণে মারার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন সরদার নান্না জানাচ্ছেন, “আমি জন্মের পর থেকেই দেখছি এই জায়গাটি বিমল দাসের পরিবার ভোগ দখল করে আসছে। এখন বাচ্চু গংরা তাদের জায়গা বলে দাবি করছে। বাচ্চুরা কিভাবে নিজেদের জায়গা বলে দাবি করছে সেটি আমার বোধগম্য নয়।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এমন অন্যায় কার্যের প্রতিবাদে সে রাতেই অধ্যাপক আলাউদ্দিন হাওলাদার ভবন নির্মাণের মালামাল চুরির একটি অভিযোগ এনে বাচ্চু শেখসহ ১১ জনকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অধ্যাপকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাচ্চু শেখকে গ্রেপ্তার করেছে।
তবে এবার কতটুকু দাস পরিবার কতটুকু ন্যায় বিচার পাবেন, কিংবা তাদের পরিবারের জীবন এবং জায়গা জমি রক্ষায় কতটুকু নিরাপত্তা প্রদান করা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেটাই বিচার্য! । হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে হাসিনা প্রশাসন ব্যর্থ বলে মনে করেন হিন্দু মহাজোটের নেতারা।