মা-বাবার একমাত্র সন্তানটি করিমগঞ্জ থেকে ব্যাঙ্গালুরু পাড়ি দিচ্ছিলেন একটি চাকুরির আশায়। কিন্তু জীবনের আয়ু শেষ হয়ে গেল মাঝপথেই। ঘরে খবর পৌঁছালো ২২ বছরের অলক দাস ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন!
করিমগঞ্জের লক্ষীবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের সেরুলবাগের বাসিন্দা তিনি।
অলক তাঁর জামাইবাবু শশধর চন্দ এবং এক প্রতিবেশি বিপ্লব দাসকে সঙ্গী করে গত ১৪ অক্টোবর তারিখে বদরপুর রেল স্টেশন থেকে ব্যাঙ্গালুরুর উদ্দেশে যাত্রা করছিলেন।
সূত্রে জানা গেছে, অলক ট্রেন থেকেই বাড়িতে জানিয়েছিলেন, তিনি ব্যাঙ্গালুরু যেতে চান না। তাঁর সঙ্গে কি হয়েছে না হয়েছে সমস্ত কথা তিনি বাড়িতে এসে জানাবেন।
আশ্চর্যজনকভাবে, মঙ্গলবারের গভীর রাতেই অলকের পরিবারের কাছে ফোন আসে, অলক নাকি ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সে সময় বহু চেষ্টা করেও মৃতের পরিবার কোনমতেই শশধর এবং বিপ্লববাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন নি।
বুধবার, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পায় অন্ধ্রপ্রদেশের রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা নিথর দেহ!
স্থানীয় আরপিএফ অলকের মৃতদেহ উদ্ধার করে সেখানকার এক হাসপাতালের মর্গে রাখে। মৃতদেহ শনাক্ত করে মা-বাবা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানা গেছে, পরবর্তীতে শশধর এবং বিপ্লব দাসের সঙ্গে মৃতের পরিবার যোগাযোগ করেছে। কিন্তু পরিবার পক্ষ অভিযোগ জানাচ্ছে, অলকের মৃত্যু নিয়ে দুজনের উত্তর ছিল যথেষ্ট সন্দেহজনক।
পরিবারের দাবি, সুস্থ মস্তিষ্কের একজন মানুষ কিছুতেই ট্রেন থেকে এভাবে ঝাঁপ দিতে পারে না। তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে শশধর এবং বিপ্লব।
মর্মান্তিক এই ঘটনার সংবাদ বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ তাঁদের বাড়িতে গেছেন গতকাল। পরিবারবর্গকে গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।