ভারতে চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি তালিকা থেকে বাদ যাওয়া হিন্দুদের শংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই। ভারতে কোন হিন্দু বিদেশি নয়। দুর্গাপূজার পূর্বে এমনই অভয়বাণী দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
শিলচরে অনুষ্ঠিত তিনদিনের আরএসএস সভায় মোহন ভাগবত এই কথা স্পষ্ট করেছেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, এনআরসি তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম না হওয়া লোকেদের উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে অতি শীঘ্রই ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিধেয়ক বিল ২০১৬’ গৃহীত করার জন্যে সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরএসএস প্রধান মোহনবাবু ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের মিলিত বৈঠকে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মোহন ভাগবতের এমন মন্তব্যে আঁতে ঘা লেগেছে রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈর।
তিনি ভাগবতের কথার তিব্র বিরোধিতা করে আজ সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মোহনবাবুর মন্তব্য হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদের বীজ বপন করবে।
তরুণ গগৈর মতে, এনআরসি তালিকায় নাম না থাকা জনগণের বিদেশি ন্যায়াধিকরণে যাওয়ার পরিবর্তে ‘রিভিউ কমিটি’ গঠন করে এই সমস্যা সমাধান করা দরকার খুব শীঘ্রই।
এছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের সঙ্গে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে আলোচনা করা একেবারেই ঠিক হয়নি ভাগবতের বলেও তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত বলা জরুরি, শেখ হাসিনা দীর্ঘ দেড় বছর পর ৩ অক্টোবর ভারত সফরে আসছেন।
আগামি ৫ অক্টোবর দুই দেশের প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকের পর দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে একগুচ্ছ চুক্তি ও সমঝোতা সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এনআরসি নিয়ে আলোচনা হবে।
দিল্লিতে শেখ হাসিনার সফর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে আলাদা মাত্রা যোগ করবে, এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও তিনি মিলিত হবেন।
এর আগে ২০১৭ সালের ৭ থেকে ১০ এপ্রিল দিল্লি সফর করেছিলেন শেখ হাসিনা।