সুপ্রিম কোর্টে চলছে বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার শুনানি।
সেখানে অযোধ্যায় রামচন্দ্রের জন্মের কথা স্বীকার করে নিয়েছে মুসলিমরা।
মঙ্গলবার সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবি জিলানি সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে জানিয়েছেন, ‘রাম চবুতরা’কে রামের জন্মভূমি হিসেবে তাঁরা মেনে নিয়েছেন। এই মর্মে ১৮৮৫ সালে ফৈজাবাদ জেলা বিচারকের পর্যবেক্ষণও তুলে ধরেছেন জিলানি।
যেখানে বলা হয়েছে, হিন্দুরা ‘রাম চবুতরা’কে রামের জন্মভূমি হিসেবে বিশ্বাস করেন।
জিলানি আরো বলেছেন, “আগে আমাদের ছিল, কিন্তু জেলা বিচারক বলেছেন, ওই জায়গাকে জন্মভূমি হিসেবে মানাটা ধর্মীয় বিশ্বাস’’।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে জিলানি এই স্পষ্ট কথাটি বলেছেন।
অযোধ্যা শুনানি চলাকালীন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বোর্ডের স্পষ্ট বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
বিচারপতি এস বোবদে এই বিষয়ে পাল্টা আরো একবার প্রশ্ন করেন, ‘ভগবান শ্রীরাম যে অযোধ্যাতেই জন্মেছিলেন তা মেনে নিতে আপনার কোনও আপত্তি নেই তো?’ উত্তরে গিলানি বলেন, ‘এটা নিয়ে কোনও বিতর্কই নেই’।
আগামি ১৮ অক্টোবরের মধ্যে অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তির চেষ্টা চালাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশে বলা হয়েছে, মামলাকারীরা চাইলে নিম্ন আদালতে গোপনে মধ্যস্থতার বিষয়টি চলতে পারে।
তবে, অযোধ্যা মামলার শুনানি প্রতিদিন যেমন শীর্ষ আদালতে চলছে তেমনই চলতে থাকবে।
প্রসঙ্গত, বাবরি মসজিদকে ঘিরে ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সংঘটিত হলে এর প্রভাব এসে পড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশেও। তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা ‘ বইটি সেই সময়কার হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের জীবনযাত্রা নিয়ে লেখা। যে সময় তারা প্রতিনিয়ত অস্থিরতা, নৃশংসতার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিল। লেখিকা তসলিমা নাসরিন সে বইয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তুলে ধরেছেন সমস্ত কাহিনি। যখন কলামিস্ট তসলিমা নির্বাসনে ছিলেন, সে সময় বারবার তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হচ্ছিল, ‘লজ্জা’ লিখে তিনি ভাল করেননি। কিন্তু একজন সৎসাহসী লেখক কখনোই তা মেনে নিতে পারবেন না। তসলিমাও পারেননি। সততার পরিচয় দিয়ে গেছেন প্রতিদিন।
যোদ্ধা তসলিমা আজ ২৫ বছর দেশছাড়া। কিন্তু তাঁর লড়াই জারি রয়েছে প্রতিনয়ত।