ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে এসে আলোচনা- সমালোচনার মুখে পড়ে অভিনেতা ফেরদৌস মঙ্গলবার ফিরলেন আপন দেশ ঢাকায়।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদকে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নতুন দিল্লি। সেই সঙ্গে ফেরদৌসের ভিসা বাতিল করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, রবিবার, অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ আসনে তৃণমূল প্রার্থী কানাইলাল আগরওয়ালার হয়ে করণদিঘি থেকে ইসলামপুর পর্যন্ত রোড শো– তে অংশ গ্রহণ করেন। ফেরদৌসের সঙ্গে ছিলেন টলিউড অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা এবং পায়েল।
ভারতের বিজেপি দল দেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে ফেরদৌস সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা জেপি মজুমদার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করে বলেছেন যে, ভারতের নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় কোন বিদেশি অংশ নিতে পারেন না। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনী নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে একজন বিদেশিকে প্রচারে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তাছাড়া ভিসা সংক্রান্ত আইন অমান্য করায় ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার করা উচিৎ বলেই তিনি মনে করেন।
কলকাতার ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার জানিয়েছেন, লোকসভার নির্বাচনি প্রচারে প্রার্থীর পক্ষে অংশ নিয়ে তিনি ভিসার শর্ত ভংগ করেছেন। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেরদৌসকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে ফেরদৌস মামলায় তোপ দেগেছেন। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, এমন প্রচারের কৌশল তো আগে কখনো দেখা যায়নি। মমতা চাইলে ভবিষ্যতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ভারতে আনিয়ে তৃণমূল প্রচার চালাবেন।