অসমে এনআরসির নামে চলছে গুণ্ডাগিরি। চলছে মানুষের ওপর চরম নির্যাতন।
বাকসা জেলায় সম্প্রতি চার ব্যক্তিকে ধরে উত্তেজিত জনতা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করার পূর্বে ‘বাংলাদেশি পরীক্ষা’ করাতে বাধ্য করে।
সূত্রে জানা গেছে, সাহিদ মিয়াঁ এবং তাঁর স্ত্রী বিমলা বেগম, লালবোর আলি এবং আব্দুল কায়াম নামক চার ব্যক্তি গুয়াহাটির থেকে সুয়াগপুরের উদ্দেশে একটি পিক-আপ ট্রাকে করে বাড়ি নির্মাণের সামগ্রী নিয়ে আসছিলেন।
আসার পথে ৫০ জন ব্যক্তি তাঁদের মাঝপথে আটকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তালিকায় নাম উঠেছে কিনা, তার সমস্ত প্রমাণ পত্র দেখানোর জন্যে জোর-জবরদস্তি করা আরম্ভ করে। রীতিমতো তাঁদের ওপর চড়াও হয় দলটি।
চার ব্যক্তি তাঁদের পরিচয়পত্র দেখাতে সক্ষম না হওয়ায় উন্মত্ত-বর্বর ৫০ ব্যক্তি গোরেশ্বর থানায় তাঁদের হস্তান্তরিত করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন, গোরেশ্বর থানার পুলিশ আধিকারিক এইচ গোস্বামী।
সাহিদ মিয়াঁসহ চার জনকে প্রশ্ন করে পুলিশ জানতে পেরেছেন, তাঁরা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নন।
নাগরিকপঞ্জির নামে এভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অসমে চলছে মানবতার লুণ্ঠন! নাম না ওঠার সন্দেহে নির্যাতন করা এবারই প্রথম নয়।