বায়ুসেনার প্রাক্তন আধিকারিক বিজন দাস রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদের একটি হোটেলে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যা, হত্যা অহরহ ঘটে চলেছে দেশে। তবে বিজন বাবুর এই ঘটনার হেতু তিনি নিজে কিংবা তাঁর পরিবার নয়। তাঁর অমূল্য প্রাণ হরণের হেতু দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। এমনই কথা লিখে গেছেন সুইসাইড নোটে আত্মহত্যার পূর্বে বায়ুসেনা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সম্বোধন করে লিখে যাওয়া সুইসাইড নোটটির জন্যে দেশের সংবাদ মাধ্যমের জন্যে ঘটনাটি ‘বিশেষ’ হয়ে পড়েছে।
অসমের মঙ্গলদৈর বাসিন্দা বিজন দাস ৬ সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ শহরের খুলদাবাদ অঞ্চলের ‘প্রয়াগ’ নামক হোটেলে ছিলেন।
মোট ৫ পৃষ্ঠার সুইসাইড নোটে ৫৫ বছরের প্রাক্তন বায়ুসেনা আধিকারিক অভিযোগ করেছেন, দেশের অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার জন্যে তিনি অবসরের পর আর কিছু করতে পারলেন না। কিন্তু তাঁর মতে, অর্থনীতির এই খারাপ অবস্থার জন্যে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দোষ দেননি।
তার পরিবর্তে তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ৬ বছর পূর্বে ক্ষমতা থেকে অপসারণ হওয়া ইউপিএ সরকারের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের দিকে ।
তিনি স্পষ্ট লিখেছেনঃ
“যখন অর্থের দিক থেকে ওলট-পালট হয় তার প্রভাব সঙ্গে সঙ্গে পড়ে না। ক’বছর পর আসলে দেখতে পাওয়া যায় তার প্রভাব। সেজন্যে কেবল মোদি সরকারকে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার জন্যে দায়ী করাটা হবে ভুল। বিমুদ্রাকরণ বা জিএসটি অস্থায়ীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু একে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার জন্যে দায়ী করব না।”
বিজন দাসের পুত্র ( সারেগামাপা লিটল চ্যাম্প’এ অংশ নিয়েছিল) বিবেক দাসের জন্যে কিছু করে যেতে পারলেন না বলে আক্ষেপ করেন। ছেলের গায়ক হবার স্বপ্ন যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পূরণ করেন, সে অনুরোধ জানিয়ে জীবনের অন্তিম সিদ্ধান্তটি নিয়েই নিলেন বিজনবাবু।
বিজন দাস নিজের অন্ত্যেষ্টিকার্যের জন্যে ১৫০০ টাকা রেখে গেছিলেন। সে কথাও লেখা ছিল নোটে।
পুলিশ ইতিমধ্যে অসমে থাকা তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলা জানা গেছে।