বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন ২৫ বছর ধরে দেশ থেকে নির্বাসিত ঠিকই, তা বলে তাঁর ভক্তের সংখ্যায় কোন হেরফের দেখা যায়নি। ডিজিটাল যুগে টুইটার, ফেসবুকে নাসরিন অনুরাগীদের সংখ্যা বরং বেড়েই চলেছে। এমনকি এমনও বহু বৃদ্ধ, বৃদ্ধারা রয়েছেন ঘরে ঘরে, যাঁদের হাতে বর্তমান সময়ও মুঠোফোন এসে পৌঁছলেও হয়তো তাঁরা সিদ্ধাহস্ত নন তাতে। তাঁরাও কিন্তু নবীন প্রজন্মের সাথে তালে তাল মিলিয়ে তসলিমাকে নিজের মেয়ের মতোই অনুভব করতে চান। একবারটি চোখের দেখা দেখতে চান।
দীর্ঘ দু-দশকেরও অধিক সময় অর্থাৎ ২৪ বছর পূর্বে বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে পরম স্নেহে ডাচ ফিকশন এবং সমানতালে নন-ফিকশনাল লেখিকা MINEKE SCHIPPER “EEN WENKBRAUW ALS EEN WILGEBLAD, Azizatische spreekwoorden en zegswijzen over vrouwen” নামক বইখানা উৎসর্গ করেছিলেন। অ্যামস্টারডাম কনফারেন্স হলে নাসরিনের হাতে তুলে দেন সে বই।
তসলিমা নাসরিনের অগুণতি ভক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেশে-বিদেশে। দেশছাড়া হলেও একাকিত্বের কোন ‘অবকাশ’ নেই তাঁর।
আপ্লুত তসলিমা নাসরিন। জানিয়েছেন তাঁর আবেগের কথাঃ
This Dutch writer came to our conference only to give me her book she dedicated to me 24 years ago. pic.twitter.com/SnRlSs5fzt
— taslima nasreen (@taslimanasreen) September 1, 2019
নারীবাদী, মানবতাবাদী লেখিকা তসলিমা অ্যামস্টারডমে ‘Atheism is not a crime’, ‘blasphemy is not a crime’ প্রভৃতি হোর্ডিং ছাপিয়ে (নারীবাদ, নাস্তিক্যবাদ,মানবতাবাদ) বহু আলোচনায় ক্রমাগতভাবে অংশ নিয়েছেন। বর্তমানেও তিনি সে অনুষ্ঠানেই ব্যস্ত রয়েছেন।
দীর্ঘ ২৪ টি বছর ধরে তসলিমার পথ চেয়ে প্রতীক্ষায় বসে থাকা ৮১ বছরের ডাচ লেখিকা কেবলমাত্র কনফারেন্সে উপস্থিত হয়েছেন নাসরিনের হাতে যত্নে লালিত হৃদয়ের ধনটি তুলে দেবার জন্যে। হৃদয়ের ধন কারণ একজন সাহিত্যিকের কাছে ‘সাহিত্য’ই প্রাণ, জীবন, যৌবন সমস্ত।
৬ ডিসেম্বর ১৯৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করা ডাচ লেখিকা MINEKE SCHIPPER ১৯৯৯ সালে সম্মানীয় ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন চেংদু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে {Chengdu university (Sichuan Province) in China)}
বর্তমানে তিনি নেদারল্যান্ডের রাজধানী অ্যামস্টারডমেরই (Amsterdam) বাসিন্দা।