বিদেশি ধর্মীয় সংগঠনগুলো অসমের বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় মানুষদের ধর্মান্তরিত করার ব্যাপক ও দ্রুত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।রবিবার অসমের গুয়াহাটি বিবেকানন্দ কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘লোকজাগরণ মঞ্চে’র আহবানে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আধ্যাত্মিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সেখানেই গুরুতর ধর্মান্তিকরণ, পূর্ববঙ্গীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষেরা যে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করছে, এই বিষয়গুলো উঠে আসে।
স্থানীয় আধ্যাত্মিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিদেশি ধর্মীয় সংগঠনগুলো অসমের স্থানীয় ধর্ম আশ্রয় করে থাকা মানুষগুলোকে হুমকি দিচ্ছে ধর্মান্তরের জন্যে।
স্থানীয় আধ্যাত্মিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা একে অসাংবিধানিক কর্ম বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে জোর করে ধর্মান্তরিত করা, এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তুলবেন জানিয়েছেন স্থানীয় আধ্যাত্মিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ধর্মান্তকরণের এই হিরিক রোধ করার জন্যে প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অসমের লোকজাগরণ মঞ্চ দ্বারা আয়োজিত সভায় স্থানীয় ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রহ্মধর্ম সমাজের আচার্য চরণ নার্জারি, দামোদরদেব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি উমাকান্ত শর্মা, আধ্যাত্মিক যুব সম্মেলন অসম এর কার্যাধ্যক্ষ শ্রীমন রাজগুরু, নেপালি সমাজের ধর্মগুরু পুরুষোত্তম উপাধ্যায়, বীরবল সত্রের সত্রাধিকার রাজেশ্বর মহাপাত্র প্রমুখ।
সংগঠনের প্রতিনিধিরা আরো বলেন যে, পূর্ববঙ্গীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকেরা অসমের অনেক সত্র, মঠ– মন্দির দখল করে স্থানীয় (খিলঞ্জিয়া)দের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করছে। প্রতিনিধিরা দাবি জানিয়েছেন, এক শক্তিশালি সরকারের। যে সরকার প্রাচীন ভারতের আধ্যাত্মিকতা ও সংস্কৃতিকে সুরক্ষা প্রদান করতে পারবে।