ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
তিনি এক ট্যুইট বার্তায় লেখেন, “অরুণ জেটলি-জির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। দীর্ঘ লড়াই চালিয়েছেন তিনি। দুর্দান্ত একজন সাংসদ এবং অসাধারণ আইনজীবী ছিলেন। ভারতীয় রাজনীতিতে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর স্ত্রী, সন্তান, বন্ধুবান্ধব এবং পরিজনদের আমার সহানুভূতি”।
Extremely saddened at the passing away of Arun Jaitley Ji, after a battle bravely borne. An outstanding Parliamentarian & a brilliant lawyer, appreciated across parties. His contribution to Indian polity will be remembered. My condolences to his wife, children, friends & admirers
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 24, 2019
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নয়াদিল্লির এইমসের ভর্তি ছিলেন তিনি। পরে অবস্থা আরও খারাপ হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়।
কিন্তু ধীরে ধীরে অকেজ হয়ে পড়তে থাকে তাঁর হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস। এবং সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে শনিবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রথম মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা। বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় গত ৯ আগস্ট সকালে এইমসে ভর্তি করা হয় অরুণ জেটলিকে৷ প্রথমে কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে। বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি হয় মেডিক্যাল টিম। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করা হয়।
অসুস্থ জেটলিকে দেখতে হাসপাতালে যান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, গত বছর তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল। তার পর চলতি বছর ক্যান্সারও ধরা পড়ে। শারীরিক অবস্থার প্রবল অবনতি হওয়ায় ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি হননি অরুণ জেটলি। অসুস্থতার জেরে মোদির মন্ত্রীসভায় মন্ত্রকের দায়িত্ব নিতেও চাননি তিনি। উল্লেখ্য, মোদি-১ ক্যাবিনেটে তিনি অর্থমন্ত্রী থাকার সময়ই জিএসটি ও নোটবন্দির মতো বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল