বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে স্বামী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব জগতের সকল মনীষীগণ প্রচার করে গেছেন মানবতার বাণী।
জীবনে বেঁচে থাকার জন্যে প্রয়োজন অপরের মানসিক সহায়। আজ এমনই এক দিন, যে দিনটিকে মানবতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯ আগস্ট বিশ্ব মানবতা দিবস।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানবতা দিবসে এক বিশেষ ট্যুইট করলেন কাশ্মীর প্রসঙ্গে। তিনি লিখেছেন, “আজ বিশ্ব মানবতা দিবস। কাশ্মীরে মানবাধিকার সম্পূর্ণ লঙ্ঘন করা হয়েছে। আসুন আমরা কাশ্মীরে মানবাধিকার ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করি।”
শেখ আব্দুলা এবং জহরলাল নেহরুর চক্রান্তের অবলুপ্তি ঘটিয়ে গত ৫ আগস্ট,২০১৯কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ৩৫এ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। কাশ্মীর এবার কেন্দ্রশাসনের আওতায়।
মমতার উক্তির কটাক্ষ করে প্রত্যুত্তর দিতে ছাড়েননি বিখ্যাত আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন এবং ইতিহাসবিদ গৌতম রায়।
বিকাশবাবু বলেছেন, “কাশ্মীরীরা মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত– এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু, এতেও সন্দেহ নেই যে, পশ্চিমবঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে অনবরত। রাজ্য সরকারের অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।”
এদিকে মমতাকে শাণিত ছুরির খোঁচা দিলেন গৌতমবাবু। তিনি বললেন, “এর যথার্থতা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু, দেখতে হবে সেটা কে বলছেন। যিনি বলছেন, তিনি একটি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তাঁর রাজ্যে প্যারা টিচারদের আন্দোলন কলকাতা শহরে করতে দেওয়া হয় না। মফস্বলে আন্দোলন করলে, পুলিশ লাইট নিভিয়ে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বর্বর ভাবে আক্রমণ করে। তৃণমূল ছাড়া আর কোনও ব্যক্তি বা দলের মত প্রকাশের অধিকার নেই। তাই এ রাজ্যের অবস্থা এখন কাশ্মীরের মতোই।”
অবশ্য এসমস্ত কথা বার্তায় মুখ্যমন্ত্রীর কিছুই যায় আসে না। বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। বর্তমান সময়ে দিদির একমাত্র লক্ষ্য যে কোনভাবে জনসংযোগ বৃদ্ধি করা।