কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণিতে গত ১৬ আগস্ট রাত ১টা ৫০ মিনিট নাগাদ সংঘটিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আরসালানের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
১৬ই আগস্ট দ্রুত গতিতে একটি জাগুয়ার সজোরে একটি মার্সিডিজকে ধাক্কা দিয়ে মইনুল আলম ও ফারহানা ইসলাম তানিয়াকে চাপা দেয়।
রবিবার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ( দায়িত্বপ্রাপ্ত ) অলকানন্দা রায়ের এজলাসে তোলা হয় আরসালান পারভেজকে।
এর আগে শনিবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ৪২৭ সম্পত্তির ক্ষতি এবং ৩০৪(২) অনিচ্ছাকৃত খুন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এগুলোর পাশাপাশি এবার যোগ হল আরও দুই কঠোর ধারা। একটি পিডিপি অ্যাক্ট, অন্যটি ৩০৮।
এদিকে সরকারি আইনজীবী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং স্নেহাংশু ঘোষ জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ভয়ংকর দুর্ঘটনাটি কিভাবে সংঘটিত হয়েছে, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সাজনোর জন্যে পারভেজকে জেরা করতে হবে। তাছাড়া আইনজীবীর কথানুযায়ী অভিযুক্তের গাড়ির গতি তীব্র মাত্রায় ছিল।
অন্যদিকে পারভেজের কৌশুলি দেবজ্যোতি সেনগুপ্ত দাবি জানাচ্ছেন, তাঁর মক্কেলের গাড়ি কিয়স্কের নীচে তিনজনকে ধাক্কা মারেনি।
ফলে সব দিক বিচার করে বিচারপতি আরসালানকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এবং এই ১২ দিনের মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করতে হবে পুলিশের। নির্দেশ আদালতের।
রবিবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে মইনুল এবং ফারহানার মৃতদেহ বাংলাদেশে আনা হয়। এবং প্রথানুযায়ী কবর দেয়া হয় তাঁদের।