ত্রিপুরা রাজ্যের রূপকার তথা শেষ মহারাজা এবং বাংলাদেশের চাকলা রোসনাবাদের শেষ জমিদার ছিলেন, বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য।
আজ ১৯শে আগস্ট মহারাজার ১১১তম জন্মবার্ষিকী। ত্রিপুরার সমস্তপ্রান্ত জুড়ে প্রবল উৎসাহের সঙ্গে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর দেববর্মা মাণিক্যবাহাদুরের জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে।
বিক্রম কিশোরের প্রতিকৃতিতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
তিনি লিখেছেন, মহারাজা বীর বিক্রম কিশোরের প্রতি আজীবন ত্রিপুরাবাসী কৃতজ্ঞ, ধন্য থাকবে। বীর বিক্রমের ছিল আধুনিক, উন্নত মনোভাবাপন্ন একটি স্বচ্ছ্ব মন। যাঁকে পাথেয় করে চলবে ত্রিপুরার জনসাধারণ এবং রাজ্য বিজেপি সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী আরো লিখেছেন, বীর বিক্রম মহারাজার শাসনে ত্রিপুরা বহু দিকে( প্রশাসনিক, আধুনিকতা, সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষাক্ষেত্র) উন্নতি করেছে।
বিংশ শতাব্দী অর্থাৎ ১৯২৩ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন মহারাজা বীর বিক্রম। ব্রিটিশ সরকারের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত স্বাধীন ত্রিপুরায় মহারাজা ছিলেন আধুনিক ত্রিপুরার রূপকার।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের সাফল্যের ক্ষেত্রে একটি বড় অবদান রয়েছে ত্রিপুরার রাজপরিবারের।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৪ জুলাই আগরতলা বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে মহারাজা স্মরণে নতুন নামকরণ হয় ‘মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বিমানবন্দর।’