বাংলা ও বাঙালি। সারা বিশ্বে আজ স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। যেখানে কন্যাশিশুকে নিকৃষ্ট, ঘৃণ্য বলে হত্যা করা হয়, সেখানে মেয়েরা সূর্যের কাছ দিয়ে উড়ে গিয়ে প্রমাণ করে দিচ্ছে, সে আঁচে তাঁদের এক ফোটাও শরীর পোড়েনা।
‘চন্দ্রযান ২’ এ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বাঙালি সন্তান চন্দ্রকান্ত। এবার পুরুলিয়ার নবম শ্রেণীর ছাত্রী অভিনন্দা ঘোষ দেশের ১৮ লক্ষ পরীক্ষার্থীকে এক ঝটকায় পেছনে ফেলে পা রাখতে চলেছে ‘নাসা’য়।
প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য অভিনন্দা যাচ্ছে নাসা। ভারতের মাত্র দু-জন পরীক্ষার্থী সুযোগ পেয়েছে নাসা গমনের। তার মধ্যে নিজের মেধা, সাহসে স্বমহিমায় স্থান করে নিয়েছে বঙ্গকন্যা।
অভিনন্দা পুরুলিয়ার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্রী। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে অভিনন্দাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা দেবার পালা। বিদ্যালয়, পরিবার, পুরুলিয়া সারা দেশ গর্বিত অভিনন্দার জন্যে।
শুক্রবার পুরুলিয়া পুরসভার কাউন্সিলর সোহেল দাদ খান অভিনন্দাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন।
অভিনন্দার মা সুস্মিতা রায়চৌধুরি এবং বাবা সজল ঘোষ জানিয়েছেন পুরুলিয়া হচ্ছে একটি পিছিয়ে পড়া জেলা। কিন্তু পিছিয়ে পড়া তকমা কোনকিছুতেই খাটে না, যদি অভিনন্দার মতো উন্নত ও সুস্থ মানসিকতা মানুষের থাকে।
যে মানসিকতা মানুষ ৯০ বছরেও অনেক সময় আহরণ করতে অক্ষম হয়ে থাকেন, তা করে দেখিয়েছে বাঙালি মেয়ে অভিনন্দা।
‘নর্থ ইস্ট নাও’ ডিজিটাল পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দার প্রতি রইল অনেক অভিনন্দন।