‘মুচলেকা একটি ভাল পদক্ষেপ। আমরা এতে সমর্থন করি। কিন্তু পড়ুয়াদের ঘাড়েই সব দায় না চাপিয়ে ক্যাম্পাস নেশামুক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকেও সক্রিয় হতে হবে। ক্যাম্পাসে যে কোনও নেশার জিনিস ঢোকা আটকাতে কড়া হতে হবে। বহিরাগতদের আনাগোনাও রুখতে হবে’। দাবি উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নেশাযুক্ত দ্রব্য খেয়ে মাতলামি করা, আইনশৃংখলা ভঙ্গ করলে তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেন হয়, সে বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষ থেকে।
এমনকি মদ ও মাদক সেবন ঠেকাতে ভর্তির সময় ছাত্রদের থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষক ও পড়ুয়াদের একাংশ। তবে তাঁরা একথাও জানিয়েছেন সরাসরিভাবে, শুধু ছাত্রদের ঘাড়েই সব দায় চাপিয়ে দিলে ক্যাম্পাস কখনো নেশামুক্ত হবে না। ছাত্রদের কড়া শাস্তির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও সক্রিয় হতে হবে। দু-পক্ষ সমানভাবে সক্রিয় হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ আরো সুন্দর হবে।
শিক্ষক সংগঠন আবুটা–র সাধারণ সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গৌতম মাইতিও বলেছেন, ‘শুধু মুচলেকা লেখালেই হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। ক্যাম্পাসের ভেতর মদ ও মাদক দ্রব্য ঢোকা আটকাতে হবে। প্রতিনিয়ত এ নিয়ে প্রচার চালাতে হবে।’