“কলকাতায় বাস করা অসমিয়ারা যথেষ্ট সৌভাগ্যবান, কারণ আপনারা কলকাতার মতো শহরে থাকার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। কলকাতা মহানগর বিশ্বের অন্যতম উল্লেখযোগ্য মহানগরী হিসেবে খ্যাত। এখানে অত্যাধুনিক সমস্ত সুযোগ সুবিধা প্রবর্তন করা হয়েছে। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার জীবন গঠন হয়েছে এই শহরেই।” রবিবার ‘সিটি অব জয়’এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
অসমকে আরো উন্নতি করার জন্যে বাংলাকে সর্বান্তকরণে পাশে চায় অসম সরকার।
১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাসেল স্ট্রিটে অসম ভবনের প্রাঙ্গনে সাহিত্যসম্রাট লক্ষ্মীনাথ বেজবড়ুয়া’র পূর্ণ অবয়ব মূর্তি উন্মোচন করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল।
কলকাতার সঙ্গে লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার সম্বন্ধ ছিল রক্তের। তাঁর অমর সৃষ্টি এই পশ্চিমবঙ্গেই সম্ভবপর হয়েছে। সে কথা এদিন স্বীকার করতে বাধ্য হলেন সর্বানন্দ সনোয়াল। সুতরাং অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সদ্ভাব এবং যথেষ্ট আন্তরিকতা রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরো বলেন, সাহিত্যরথী লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার মূর্তি উন্মোচনের মাধ্যমে আরো একবার দুই রাজ্যের সমন্বয়ের পথ মজবুত হবে।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী সাহিত্যিক বেজবরুয়ার বিবাহের কথা উল্লেখ করেছেন, কিন্তু মুখ ফুটে বলেননি, ১৮৯১ সালে লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া কলকাতার ঠাকুর পরিবারের কন্যা প্রজ্ঞাসুন্দরীকে বিবাহ করেছিলেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সাহিত্যিকের সম্পর্ক ছিল বন্ধুত্বের।
কলকাতায় থাকাকালীন অবস্থাতেই লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া সাহিত্য জগতে প্রবেশ করেছিলেন।
উল্লেখযোগ্য যে, প্ৰায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়-সাপেক্ষে নিৰ্মিত প্ৰতিমূর্তির প্ৰধান ভাস্কৰ্য্যশিল্পী বিজু দাস।
অসম ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলা এবং অসমের সম্পর্কের বন্ধন দীর্ঘদিনের।সামাজিকভাবে,সাহিত্যগতভাবে এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানে একে অপরের আত্মিক যোগ রয়েছে। আমরা একযোগে হাতে হাত ধরে এগিয়ে যেতে পারবো সব ক্ষেত্রে। একদিন দেশের মধ্যে এক নম্বর রাজ্য হতে পারব আমরা।”
এদিন কলকাতায় এসে এমন মৈত্রীবার্তাই শোনা গেল অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল মুখে।
উল্লেখযোগ্য যে, এদিন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কলকাতায় বসে টুঁ শব্দটি করেননি বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী বারংবার উল্লেখ করেন অখণ্ডতা এবং অসম- বাংলার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের কথা।