লোকসভা নির্বাচনের পূর্বকালের এক সমিক্ষায় উঠে এল পশ্চিমবঙ্গ মানুষের মনের কথা। যা চাইলেই তাঁরা বলতে পারেন না, বা বললেও শোনার কেউ নেই। ২১ হাজার মানুষের সুর এক স্থানে জড়ো হতে দেখা গেল।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ এবং অসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মোট ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের ২১ হাজার মানুষদের নিয়ে একটি সমিক্ষা চালায়। সেই সমিক্ষায় উঠে আসে মানুষের জীবন। তাদের আসল চাহিদা। যে চাহিদা পূরণ করতে মানুষ নাকাল হয়ে যাচ্ছে।
গ্রাম এবং শহরের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, কর্মসংস্থান তাঁদের মৌলিক চাহিদাতে পরিণত হয়েছে। ভোটে তাঁদের যে কোন দাবির আগে প্রাধান্য পাবে কর্মসংস্থানের দাবি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বক্তব্য অনুসারে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হলে পারিপার্শ্বিক চাহিদা গুলো এমনি পূরণ হয়ে যাবে।
তাঁরা সমিক্ষকদের জানিয়েছেন, সরকারের নারী সুরক্ষা বিষয়ে নজর দেওয়া, বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ, বিদ্যাশিক্ষার ব্যবস্থা করা এগুলো করেছেন ঠিকই। এই সমস্ত খুবই ভাল। কিন্তু তাঁর সাথে কৃষিক্ষেত্রে ঋণ পাচ্ছেন না কৃষকরা, সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে প্রদূষণের মাত্রা, কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত এগুলো একটা খুব বড় দিক। যে দিকে সরকার একেবারেই নজর দিচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন মানুষ। যুগ যুগান্তর ধরে যে মানুষগুলো সরকার বাঁচিয়ে রাখছে, আজ তাঁদের হতাশা উঠে এল। পশ্চিমবংগ সরকারের কোন মনোযোগ নেই তাঁদের প্রতি, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।
সমিক্ষায় আরো বহু তথ্য উদ্ধার করেন সমিক্ষকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন যে, ভোটের লোভে উপহারের বাক্স তুলে দেওয়া নিষেধ। এই কথা আজকাল সরল গ্রামের মানুষও বোঝেন। ভোটারদের ৩৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, এখনো সেই উপহার বিলি করা হয় কোন কোন স্থানে।