নয়াদিল্লি: ভালো নেই তসলিমা নাসরিন। কিসের থেকে হঠাৎ কী হয়ে গেল! এখন ক্রমাগত অভিযোগ করছেন Taslima। কিন্তু তিনি নিজেও এককালে ডাক্তারি করেছেন, গাইনো ডাক্তার ছিলেন। কিন্তু সেই ডাক্তারি অভিজ্ঞতাকেও ধিক্কার দিলেন Taslima।
বিস্ফোরক দাবি করেছেন লেখক। জানিয়েছেন, শল্য চিকিৎসকের ভুলেই স্থায়ীভাবে পঙ্গু হতে চলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ না জানিয়েই শল্য চিকিৎসক তাঁর ‘হিপ রিপ্লেসমেন্ট’ করেছেন। যে কারণে হাঁটার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।
তসলিমা নাসরিনের প্রশ্ন লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন সেটা কি এই পঙ্গু জীবন পেতে!
Taslima জানিয়েছেন, বাড়িতে পাজামা চপ্পলে আটকে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন, সেকারণেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ছুটে যান। জানতে পারেন পায়ের ফিমার নামক হাড়ে চিড় ধরেছে। চিকিৎসার মাধ্যম হিসাবে দুটো অপশান দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
এক, ইন্টারনাল ফিক্সেশান, দুই, হিপ রিপ্লেসমেন্ট। তসলিমা প্রথমটির পক্ষে সওয়াল করলেও চিকিৎসকরা হিপ রিপ্লেসমেন্টের পক্ষেই জোর করছিলেন তাঁকে। শেষপর্যন্ত ওটি-তে নিয়ে গিয়ে ফিক্সেশনের কথা হলেও শেষপর্যন্ত হিপ রিপ্লেসমেন্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন লেখিকা। একপ্রকার জোর করেই সেটা করা হয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
কিন্তু এই জোর কেন করা হলো? দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠছে। এক্সরে রিপোর্ট দেখলেন বললেন তিনি। তাহলে কি আগে তিনি রিপোর্ট দেখেননি? নাকি তাঁর হাতে পৌছায়ইনি সেই রিপোর্ট?
লিখেছেন, “ধিক্কার দিচ্ছি নিজেকে। ধিক্কার দিচ্ছি এতকালের আমার মেডিক্যাল জ্ঞানকে। আমাকে হাসপাতালে মিথ্যে কথা বলা হয়েছিল যে আমার হিপ বোন ভেঙ্গেছে।
আমার জীবনে কোনও জয়েন্ট পেইন ছিল না, জয়েন্ট ডিজিজ ছিল না। আমাকে মিথ্যে কথা বলে, ফিমার ফ্র্যাকচারের ট্রিট্মেন্টের নামে আমার হিপ জয়েন্ট কেটে, ফিমার কেটে ফেলে দিয়ে আমাকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ধিক্কার দিচ্ছি আমি কেন ক্রিমিনাল টিমের ট্র্যাপে পড়লাম। আজ আমি এক্সরে রিপোর্ট দেখলাম আমার। আমার কোথাও কোনও ফ্র্যাকচার হয়নি সেদিন। ফ্র্যাকচার হয়নি বলে আমার হিপ জয়েন্টে কোনও ব্যথা ছিল না, কোনও সুয়েলিং ছিল না।
আমাকে বাংলাদেশি মুসলিম রোগী হিসেবে দেখা হয়েছে। যার কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়ে অপারেশান করা হবে। সেই নিরীহ রোগী দেশে ফিরে যাবে, এবং ভেবে সুখ পাবে যে তার ট্রিট্মেন্ট হয়েছে”।