কলকাতা: আগেকার দিনে প্রায় সবাই ব্রাহ্ম মুহূর্তে (brahma muhurta) ঘুম থেকে উঠে পড়তেন। কিন্তু এখনের যুগ পাল্টে গিয়েছে। প্রচুর রাতে ঘুমোয়, আর ব্রাহ্ম (brahma) কী আর ওঠা হয়?
তবে ব্রাহ্ম মুহূর্তে (brahma) উঠতে পারলে শরীর মন সবকিছুর জন্যে উপকার। ব্রাহ্ম মুহূর্তে (Brahma) বিছানা ছাড়া ভীষণ জরুরি। ব্রাহ্ম (Brahma) মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠার নানা উপকারিতা রয়েছে।
আয়ুর্বেদ অনুসারে সূর্যোদয়ের দেড় ঘণ্টা আগে যে সময়, তাকে ব্রাহ্ম (Brahma) মুহূর্ত বলে। সূর্যোদয়ের সময়ের সঙ্গে এটি স্থান এবং সময় বিশেষে বদলে যায়। আমাদের দেশের পূর্ব প্রান্তে,পশ্চিম প্রান্তে সূর্যোদয়ের সময়ের মধ্যে পার্থক্য থাকে।
আর সেই হিসেবে দেখতে গেলে এই দুই এলাকায় ব্রাহ্ম (Brahma) মুহূর্ত আলাদা। যখন সূর্যোদয় ভোর ৫টায় হবে, তখন ব্রাহ্ম (Brahma) মুহূর্ত ৩.৩০ মিনিটে হবে। অন্যদিকে, কোনও স্থানে সূর্যোদয়ের সময় যদি সকাল ৭টা হয়, সেখানে ব্রাহ্ম (Brahma) মুহূর্ত শুরু হবে ভোর ৫.৩০ মিনিটে।
আধুনিক চিকিত্সাশাস্ত্র মতে, ব্রাহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠলে আমাদের শরীরে মেলাটনিন হরমোন ক্ষরিত হয়।
আপনার মন স্থির হবে, বাড়বে মস্তিষ্কের ক্ষমতা। এই সময় ঘুম থেকে উঠে আধঘণ্টা প্রাণায়াম করার অভ্যাস করুন। মন সবসময় ইতিবাচক থাকবে আপনার।
ব্রাহ্ম (Brahma) মুহূর্তে শরীর একদম হাল্কা হয়ে যায়। প্রকৃতিতে কাটান কিছু সময়।এর ফলে আপনি নিজেই বুঝবেন আপনার পরিবর্তন। কোনো নেতিবাচক চিন্তাই আর আপনাকে গ্রাস করতে পারবে না।
এ সময় ঘুম থেকে উঠলে ওজন কমে।