শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ভাইফোঁটার উপহার যে চটজলদি পেয়ে যাবেন, তা কিন্তু কোন মহলই আশা করতে পারেনি।
মাত্র তিনদিন পরই নবান্ন থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা ফেরাল।
উল্লেখযোগ্য যে, গেরুয়া দলে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফ থেকে। এরপর কেটে গেল আড়াই মাস। এর আগে কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরও শোভন চট্টোপাধ্যায় যখন গোলপার্কের ফ্ল্যাটে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন তখনও তাঁর সঙ্গে ছিল পশ্চিমবঙ্গের প্রদান করা ওয়াই ক্যাটেগরি নিরাপত্তা।
এদিন একটা কুড়ি মিনিট নাগাদ গোলপার্ক থেকে রওনা দেন শোভন সঙ্গে অবশ্যই ছিলেন বৈশাখী। ১ টা ৪৫ নাগাদ পৌঁছে গিয়েছেন হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মমতার বাড়িতে।
মঙ্গলবার ২০১৯ সালের অন্যতম বড় রাজনৈতিক বিস্ময় দেখল গোটা রাজ্য৷
এদিন একটা কুড়ি মিনিট নাগাদ গোলপার্ক থেকে রওনা দেন শোভন সঙ্গে অবশ্যই ছিলেন বৈশাখী। ১ টা ৪৫ নাগাদ পৌঁছে গিয়েছেন হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মমতার বাড়িতে।
১৪ অগাস্ট তৃণমূলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে বৈশাখী-শোভন যোগ দিয়েছিলেন বিরোধী দল বিজেপিতে। কিন্তু দলের সঙ্গে মোটেই মানিয়ে নিতে পারছিলেন না বলে অহরহ স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়ছিলেন তৃণমূলের কথা ভেবে!
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, শোভনবাবুর সঙ্গে ক্রমেই মমতার দূরত্ব হ্রাস পাচ্ছে।
আজ অর্থাৎ শুক্রবার শোভন চট্টোপাধ্যায় মোট ৮জন নিরাপত্তারপক্ষী পেতে চলেছেন।
শোভনবাবুর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বৈশাখীদেবী সংবাদমাধ্যমকে বলেন ‘তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। তিনি মানবিক দিক থেকে সমস্যা দেখেছেন। এতে অহেতুক রাজনীতি খোঁজার কোনও মানে নেই।’