নাগরিক পঞ্জি নিয়ে এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রস্তাব আনছে সরকারপক্ষ। একযোগে প্রস্তাব আনছে বাম ও কংগ্রেসেও।
বুধবার বিধানসভা বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে স্বাভাবিকভাবে এতে সঙ্গে নেই বিজেপি।
এনআরসির বিরোধিতা করে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর সরকারিভাবে প্রস্তাব আনা হচ্ছে। এর উপর আলোচনা হবে বিধানসভায়, থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই পথে নেমে এনআরসির বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন সভা সমাবেশ থেকে এর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে যে এনআরসি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না, তা একাধিকবার কেন্দ্রকে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি অসমে নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা থেকে ১৯ লক্ষ মানুষের বাদ পড়া নিয়েও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
তবে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে, অসমের পর নাকি পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিক পঞ্জি তালিকা চূড়ান্ত করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই আগেভাগেই পথে নেমে তার বিরোধিতা শুরু করেছে শাসকদল। পাশে রয়েছে বাম-কংগ্রেসের মতো বিরোধী শিবিরও।
শের মানুষের রাষ্ট্রচ্যুত হওয়ার প্রতিবাদে দলকে পথে নামার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষত, উত্তরবঙ্গের দলীয় নেতাদের বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মিছিল হবে কলকাতাতেও।
মঙ্গলবারই বিধানসভায় জিরো আওয়ারে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী দাবি করেন, অন্যান্য কাজ সরিয়ে রেখে অবিলম্বে আলোচনা করে এনআরসির বিরুদ্ধে প্রস্তাব নেওয়া হোক। একই দাবি ছিল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রের।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের তরফে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, এই রাজ্যে এনআরসি চালু করার দাবি কোনও ভাবেই মানা যায় না।
বুধবারই বিধানসভার কমিটির বৈঠক বসে। এতে সরকারপক্ষ, বাম-কংগ্রেস একযোগে প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।