মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রাজ্যে এনআরসি, সিএএ এবং এনআরপি কোনটাই কার্যকর হতে দেবেন না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে
উল্লেখযোগ্য যে, ২৭শে জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধি প্রস্তাব।
কেরালা, পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের পর পশ্চিমবঙ্গ চতুর্থ রাজ্যে পরিণত হয়েছে।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক পার্থক্য উপেক্ষা করে বিরোধী সিপিআই-এম এবং কংগ্রেসকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
নতুন নাগরিকত্ব আইন জনবিরোধী, সংবিধানবিরোধি এই তকমা দিয়ে অবিলম্বে আইনটি প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
সোমবার সন্ধ্যায় পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে সিএএ এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনপিআর ও এনআরসি বাতিলের দাবিও জানানো হয়েছে।
গতকাল বিধানসভায় পাস হওয়া প্রস্তাব নিয়ে মুখমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংবিধান ও মানবতার পরিপন্থী। আমরা অবিলম্বে এই আইনের বাতিল চাই। একইসঙ্গে আমরা জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন কার্যাক্রমও (এনপিআর) প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে পশ্চিম বিধানসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিধায়করা এই প্রস্তাবের চরম বিরোধিতা করেন।
শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করার জন্যে কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য সম্প্রতি মোদি সরকার কয়েক যুগ পুরনো নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করলে ভারতে ব্যাপক বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু হয়। তাতে অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকার প্রথম থেকেই আইনটির বিরোধিতা করে আসছে।