কলকাতাঃ শত আবেদন নিবেদন করেও ফল হল না। সোমবার একটি বিশেষ CBI আদালত পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিচার বিভাগীয় হেফাজত আরও ১৪ দিন বাড়িয়েছে। SSC দুর্নীতি মামলায় সোমবার আলিপুর আদালতের সামনে হাজির করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী Partha Chaterjeeকে।
এর আগে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI) ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিসেস কমিশনে (WBSSC) গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগে একটি চার্জশিট দাখিল করেছিল এবং প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে এই ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসাবে অভিযুক্ত করেছিল।
CBIএর চার্জশিটে এসপি সিনহা (S P Sinha), অশোক কে সাহা (Ashok K Saha), কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Ganguly), সৌমিত্র সরকার (Soumitra Sarkar) and সমরজিৎ আচার্য (Samarjit Acharya)র নামও রয়েছে।
সোমবার সিবিআইয়ের (CBI) মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আদালতে সওয়াল-জবাবের সময় পার্থ বলেন, ”আমার শরীর দিচ্ছে না। রোজ রোজ আমার বিরুদ্ধে নতুন নতুন মামলা হচ্ছে। আমাকে আমার মতো থাকতে দিন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিন।” পালটা সিবিআই তাঁর জামিনের বিরোধিতায় ফের ‘প্রভাবশালী’ তত্ব সামনে আনে। আদালতকে আইনজীবী জানান, তাঁর থেকে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে জামিন দিলে সমস্যা হবে। আলিপুর আদালতের বিচারক সিবিআইকে পালটা জিজ্ঞাসা করেন, তদন্ত শেষ করতে আর কতদিন সময় লাগবে? তাতে সিবিআই ৬ মাসের সময়সীমার কথা জানায়।
এদিন সকালে আলিপুর আদালতে ঢোকার সময় মেজাজ হারান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ কি সত্যি, এই প্রশ্নে রীতিমতো মেজাজ হারালেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। ধমকের সুরে আঙুল উঁচিয়ে বলেন, “চুপ করে থাকুন।” আর এদিন আদালত থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ”দলের সঙ্গে আছি, ১০০ বার আছি।”
একই মামলায় সোমবার ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ব্যাঙ্কশাল আদালতে ভারচুয়ালি পেশ করে। সেই মামলায় এখনও অবশ্য কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন পাওয়ার জন্যই লড়ছেন তাঁর আইনজীবীরা।
প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গত ২৩ জুলাই SSC নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তদন্ত করার সময় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) গ্রেপ্তার করেছিল। কেন্দ্রীয় সংস্থা এর আগে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না এবং সম্পত্তির দলিল সহ নগদ ₹৪৯.৮০ কোটি বাজেয়াপ্ত করেছিল। PMLA courtএ জমা দেওয়া একটি চার্জশিটে ED দাবি করেছে যে জব্দ করা মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকারও বেশি।