জন্মাষ্টমীর দিনই পশ্চিমবঙ্গে ঘটে গেল বড়সড় দুর্ঘটনা।
শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের কচুয়ার লোকনাথ মন্দিরে ভক্তদের ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২৮ জন।
কচুয়াধামে পদপিষ্ট হয়ে নিহত এবং আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রত্যেকের পরিবার পিছু আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জন্মাষ্টমীতে প্রতি বছরই লোকনাথের জন্মস্থান কচুয়া ধামে ভিড় জমান ভক্তরা। প্রতি বারের মতো এবারও তার অন্যথা হয়নি।
জানা গিয়েছে, ঘটনার আগে মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয় কচুয়ায়। ভক্তদের অনেকেই তখন মন্দির চত্বরের বাইরে আশ্রয় নেন। বৃষ্টি থামার পর এক সঙ্গে হুড়োহুড়ি করে মন্দিরে ঢুকতে গেলে মন্দিরের পাঁচিল ভেঙে পড়ে। মন্দিরের পাঁচিলের গায়ে বাঁশের কাঠামো এবং বেশ কিছু দোকান ছিল। সেগুলোও ভেঙে যায়। আতঙ্কে আরও হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাতে পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে অনেকে জখম হন।
তড়িঘড়ি শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় অন্তত ন’জনকে কলকাতায় এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
সকাল ১১টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এবং সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। চিকিৎসকদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “খুব বেশি ভিড় এবং সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, গুরুতর আহতদের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা এবং কম আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে’।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি স্থানীয় ভাবে খোঁজ নিয়ে দেখেছেন দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন তরুণ মণ্ডল এবং পূর্ণিমা গড়াই। তবে পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, এখনও পুলিশের থেকে মৃতের সংখ্যা তিনি যাচাই করতে পারেননি কারণ উদ্ধারকাজে পুলিশ ব্যস্ত রয়েছে।