ভারতে চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন শেষ হচ্ছে আজ রবিবার। এ বার ‘আনলক-১’!
কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে, ৮ জুন থেকে ধাপে ধাপে লকডাউন উঠিয়ে নেওয়া আরম্ভ হবে।
সেদিন অর্থাৎ সোমবার থেকে প্রথম দফার ‘আনলক’-এ খুলে যাবে সমস্ত ধর্মীয় স্থানসহ হোটেল-রেস্তরাঁ এবং শপিং মল।
তবে স্কুল-কলেজ নিয়ে খোলার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জুলাই মাসে।
তবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই যে, কনটেনমেন্ট জোনগুলোতেও লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে! সে জোনে কঠোরভাবে বলবৎ থাকবে লকডাউন ৩০ জুন পর্যন্ত।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের কোভিড রোগির ৭০ শতাংশ হচ্ছে দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, হাওড়া, চেন্নাই, আমদাবাদ, পুণে, ঠাণে, হায়দরাবাদ, ইনদওর, জয়পুর, জোধপুর, চেঙ্গালপাট্টু, তিরুভাল্লুর— এই ১৩টি শহরে। এবং এই শহরগুলোতেই কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা অধিক।
উল্লেখযোগ্য যে, সারা দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছুঁইছুঁই করছে। এ পর্যন্ত সর্বমোট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৭১।
এমন অবস্থায় লকডাউন তুলে দেয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানাচ্ছেন, ‘‘সংযম রাখতে হবে। আনলক হলেও সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিয়ম মেনে চলতে হবে।’’
আমরা সবস্তারে একবার লকডাউন উঠা এবং নিয়মাবলীর পুরো বিষয়টি দেখে নেবোঃ
১/ ৩০ জুন পর্যন্ত শুধুমাত্র কনটেনমেন্ট জ়োন-এ লকডাউন থাকবে।
২/ ৮ জুন থেকে খুলছে;
# ধর্মস্থান
# হোটেল-রেস্তরাঁ
# শপিং মল
দ্বিতীয় ধাপ: স্কুল-কলেজ, কোচিং ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে জুলাই মাসে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
তৃতীয় ধাপ: পরিস্থিতির জটিলতা বা কিছুটা সরলতা দেখে বর্তমানে যা যা বন্ধ সেগুলো খোলার দিন ঠিক হবে।
যেমন,
# মেট্রো রেল
# সিনেমা হল, জিমন্যাসিয়াম, সুইমিং পুল, বিনোদন পার্ক, থিয়েটার, বার, প্রেক্ষাগৃহ, সমাবেশ হল
# আন্তর্জাতিক বিমান
# ক্রীড়া, রাজনৈতিক, বিনোদন, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বড় সমাবেশ।
এছাড়াও কার্ফু যেমন ছিল তেমনটাই থাকছে। তবেঁ সামান্য বদল ঘটেছে সময়ে। সন্ধ্যা ৭টা-সকাল ৭টা-র বদলে রাত ৯টা-ভোর ৫টা পর্যন্ত থাকছে কারফিউ।
আনলকে জানানো হয়েছে আরো যে, এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে অথবা রাজ্যেই এক জেলা থেকে অন্য আরেক জেলায় যাতায়াত করা যাবে। এর জন্যে কোনও আলাদা অনুমতি, ই-পারমিটের প্রয়োজন হবে না। পণ্য পরিবহণেও কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।