কলকাতা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University) খুব শীঘ্রই বিশ্বের প্রথম ‘লিভিং হেরিটেজ ইউনিভার্সিটি’(Living Heritage University) তকমা পেতে চলেছে। সংবাদ সংস্থা দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্ৰেসের প্ৰকাশিত এক প্ৰতিবেদন অনুযায়ী, খুব শীঘ্ৰই ইউনেসকোর (UNESCO) তকমা পেতে চলেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়(Visva Bharati University)।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর(Visva-Bharati University Vice-Chancellor Bidyut Chakraborty) বক্তব্য উদ্ধৃত করে ওই প্ৰতিবেদনে বলা হয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়টিকে একটি হেরিটেজ বিশ্ববিদ্যালয়(Heritage University) ঘোষণা করা হতে চলেছে। এটাই হবে বিশ্বের প্ৰথম হেরিটেজ বিশ্ববিদ্যালয়।
উপাচার্য আরও বলেছেন, ‘এপ্রিল বা মে মাসে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক হওয়া বাকি রয়েছে। তাছাড়া বাকি সব হয়ে গিয়েছে। সাধারণত কোনও মনুমেন্টকে বা সৌধকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়। এখনও সচল রয়েছে এমন কোনও বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউনেসকোর হেরিটেজ তকমা দেওয়া সারা বিশ্বে এই প্রথম।’
তবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়া নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Visva-Bharati University) তরফে এখনও কোনও বিবৃতি প্ৰকাশ করা হয়নি।
প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯২১ সালে নোবেল জয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের(Nobel Laureate Rabindranath Tagore) প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৫১ সালে সংসদের একটি আইন দ্বারা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পায়। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার(Birbhum district in West Bengal) শান্তিনিকেতন এবং শ্রীনিকেতনের যমজ শহরে অবস্থিত।
১১৩০ একর জমি জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বিস্তৃত। বদ্ধ ঘরে নয় মুক্ত-প্ৰাঙ্গনে ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের শিক্ষাদানই পছন্দ ছিল রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুরের। বিশ্বভারতীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা ইউনেসকোর ওয়েবসাইটেও উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘সংস্কৃতির কেন্দ্রভূমি হিসেবে এবং শিল্প-কলা, ভাষা, সাহিত্য, সঙ্গীত ও শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিকাশের জন্য ১৯২২ সালে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।’
১৯২২ সালের মে মাসে শিক্ষাপ্ৰতিষ্ঠানটি রেজিস্ট্ৰেশন হওয়ার আগে কবিগুরুর নামেই নামকরণ ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (NIRF) বিশ্বভারতীকে ভারতে ৬৯ তম এবং ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ৫০ তম স্থান দিয়েছে।