তৃণমূলের রাজত্বে রাজ্যে সৃষ্টি হয়েছে অরাজকতা। ঘাসফুলের রাজ্যে না আছে শিক্ষকের সম্মান, না আছে ডাক্তারের সম্মান। রাজ্যের যে কোন জেলায়, যে কোন সময় ঘটে যাচ্ছে নিগ্রহের ঘটনা। অথচ তৃণমূলের দলীয় নেতারা সেখানে সামান্য ক্ষমা চেয়েই চুপ!
কলকাতার নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে অধ্যাপককে নির্লজ্জভাবে মারধর করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গুণ্ডারা।
এই ঘটনার ২৪ ঘন্টাও কাটেনি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী খোদ সুর নরম করলেন । ফোন করে প্রহৃত অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে দুঃখপ্রকাশ করলেন । শুধু তাই নয়, কলেজে গিয়ে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল এবং জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব।
ঘটনায় অভিযুক্ত দুই কাণ্ডারি সন্দীপ পাল এবং বিজয় সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জনগণদের মতামত অনুযায়ী, ‘তৃণমূলের আমলে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, দেখা যাচ্ছে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যাবে না। করলে তিনি জাতি গড়ার কারিগরই হোন কিংবা ডাক্তার। খেতে হবে কেলানি’।
উল্লেখ্য,বুধবার,২৪ জুলাই তারিখে কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে দু’দল ছাত্রীর মধ্যে কিছু নিয়ে গোলমাল বাঁধে। এক ছাত্রীকে চড়ও মারা হয়। অধ্যাপক সুব্রতবাবু এই ঘটনার প্রতিবাদ করাতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েক জন গুণ্ডামার্কা যুবক শিক্ষককের নাকে-মুখে এলোপাথাড়ি ঘুষি চালায় শার্টের কলার ধরে।
সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল।