‘‘লক্ষ্মী ছেলেরা আমার। কাজে যোগ দাও। লাইভ হচ্ছে, এখানে মিষ্টি করে বলে দাও। ওখানে গিয়ে জোরালো করে ঘোষণা করো।’ গতকাল নবান্নে যে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনায় বসেছিলেন, এ মুখ্যমন্ত্রী যেন সেই মুখ্যমন্ত্রী নন !
ঠাণ্ডা মেজাজের আমরা যেন একজন অভিভাবককে প্রত্যক্ষ করলাম । ‘বাবা’, ‘লক্ষী সোনা’ সম্বোধন করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের !
অবশেষে বরফ গলল । টানা সাত দিনের মাথায় আন্দোলনে ইতি টানলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা ।
মুখ্যমন্ত্রী রীতিমত বাধ্য হলেন সঠিক পদক্ষেপের আশ্বাস । এমনকি ভুল হয়ে থাকলে করজোড়ে ক্ষমাও চাইলেন !
তাঁর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এ দিন সন্ধ্যা থেকেই কাজে যোগ্দান করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁরা পূর্বেই ঘোষণা করেছিলেন, দাবি মিটলেই পরিষেবা সঙ্গে সঙ্গে শুরু করে দেবেন । আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আউটডোরেও স্বাভাবিক কাজ শুরু হবে।
চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ওঠার পর রাতেই হামলায় গুরুতর আহত পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্যে মমতা মৌলালির বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছেন ।
আমরা দেখে নেব, দীর্ঘ সাতদিনের আন্দোলনের পর এদিন বৈঠকে প্রাপ্তি কতটুকুঃ
> নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ। বসানো হবে জরুরি বিভাগে কোলাপসিব্ল গেট।
> নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নজর রাখার জন্যে নিয়োগ করা হবে নোডাল পুলিশ অফিসার ।
> সরকারি প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তাদের উপযুক্ত নির্দেশ।
>ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে স্বাস্থ্যসচিবকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ।
> চিকিৎসক ও রোগীর পরিবারের মধ্যস্থতায় জনসংযোগ আধিকারিক নিয়োগের নির্দেশ।
>অভিযোগ কেন্দ্র গঠন করে প্রচার।
> অরাজনৈতিক ভাবে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ।
> রোগী কল্যাণ সমিতি সক্রিয় করার নির্দেশ।
এদিন কনফারেন্স জুনিয়র ডাক্তারদের ৩১জন প্রতিনিধিসহ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, ডিজি, কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল চারটেয় বৈঠক শুরু করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ।