কলকাতাঃ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সেইসঙ্গে মায়ানমারের ঘূর্ণাবর্ত। দুইয়ের জেরে বৃষ্টির(rain) পূর্বাভাস(forecast) কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গোপসাগরে(Bay of Bengal) কেঁদো দ্বীপের(island) কাছে উল্টে গেল এফবি সত্যনারায়ণ নামের একটি ট্রলার। শুক্ৰবার এই ঘটনায় নিখোঁজ কাকদ্বীপ-নামখানা এলাকার ১৮ মৎস্যজীবী।
কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে- আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পাওয়ার পর ফেরার সময় সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্পের অন্তর্গত কেঁদো দ্বীপের কাছে ডোবা চরে ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি পাল্টি খেয়ে যায়। বঙ্গোপসাগরের গভীরে ইলিশ মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তারা। মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারা যাচ্ছে না। মৎসজীবী ইউনিয়নের পক্ষে উপকূল রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, গত ১৬ আগস্ট বঙ্গোপসাগরের গভীরে ইলিশ ধরতে গিয়েছিল এফবি সত্যনারায়ণ নামের ট্রলারটি। ইতিমধ্যেই সমুদ্ৰ সৈকতে মাইকিং শুরু করে দিয়েছে প্ৰশাসন।
উল্লেখ্য, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকায় মত্স্যজীবীদের জন্য সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা ছিল। ট্রলারগুলিকে ১৭ তারিখের মধ্যে ফিরে আসার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। বার্তা পেয়ে ফেরার সময় কেঁদো দ্বীপে ডুবে যায় ট্রলারটি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত উপকূলরক্ষী বাহিনী দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি বলে মৎস্যজীবী সংগঠনের দাবি।
প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার গভীর সমুদ্রে নিয়মিত ট্রলার দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই কথা মাথায় রেখেই গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ,কাকদ্বীপ,রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি ও সাগরদ্বীপের মৎস্যজীবীদের সতর্ক ও সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি কড়া নজরদারি শুরু করে জেলা মৎস্য দফতর। তারপরেও এরকম দুর্ঘটনায় মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।