‘ওয়াকিং ট্রলি’ নিয়ে মনের আনন্দে হেঁটে বেড়াচ্ছে কুকুর ছানাটি। আর সে ছবিই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
গত ৭ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুর স্টেশনের কাছে ট্রেনের নীচে পড়ে পিছনের দুটি পা কাটা পড়ে তৈমুরের। ও হ্যাঁ কুকুর ছানাটির নাম তৈমুর।
ব্যারাকপুর পশু হাসপাতালের ডাক্তাররা হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। অস্ত্রপোচার করা হলেও তৈমুর বাঁচবে কিনা সে বিষয়ে তাঁরা সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু পেশায় পিয়ানো শিক্ষক শ্যামনগরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ গোস্বামী হাল ছাড়েন নি। তিন মাস ধরে চিকিৎসা করে তৈমুরকে শুধু প্রাণেই বাঁচাননি, তার জন্য বানিয়েছেন দু’চাকাওয়ালা এক ট্রলি।
রাস্তায় পড়ে থাকা পশু-পাখিদের চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলাই প্রসেনজিৎবাবুর নেশা। গত ৩৫ বছর ধরে নীরবে সে কাজটিই তিনি করে যাচ্ছেন।
প্রসেনজিৎবাবুর মতে ঝুঁকি না নিলে হয়ত তৈমুরকে বাঁচানো যেত না।
ইন্টারনেট ঘেঁটে কুকুরদের জন্য ওয়াকিং ট্রলির নকশা তৈরি করেন তিনি। তৈমুরের শরীরের দৈর্ঘ্য, ওজন সব কিছু দেখে কাঠ, অ্যালুমিনিয়াম শিট, বেল্ট, প্লাইউড দিয়ে নিজেই বানিয়ে ফেলেন ওয়াকিং ট্রলি! পিছনের পা দু’টি যাতে মাটিতে ঘষে না যায়, সে জন্য পা রাখার ব্যাগও রাখেন তাতে। প্রতি ছ’মাস অন্তর তৈমুরের আকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই ট্রলির মাপ বদল করে দেওয়া হবে।
আর তৈমুরও খোশমেজাজে হেঁটে বেড়াচ্ছে নতুন জীবন পেয়ে।