কলকাতা:ফিরহাদ হাকিম অবশ্য আগেই সাফাই দিয়েছেন যে দলের সবাই খারাপ নয়, ডেমেজ কন্ট্রোলে কিছুটা নেমেছিলেন তিনি পশ্চিমবঙ্গের দুনীতির পরিবেশে।
কারণ পশ্চিমবঙ্গে এখন শুধু দুর্নীতির গ্রেফতারের খবর। প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তারপর অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। একের পর এক টানা নজরে আছেন। এদিকে বিরোধীরা তো ঝাঁঝিয়ে চলেছেন। শুভেন্দু অনুব্রতকে মাফিয়া বলেই সম্বোধন করেছেন। কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ।
এদিকে তৃণমূল তাদের সক্রিয়তা দেখাতে এবারে পথে নামছে, (TMC)। শুক্রবার থেকে দু’দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে দলের ছাত্র-যুব সংগঠন। আর বরাবরের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির (Central Agency) নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঘাস-ফুল শিবির।
জানা গিয়েছে, দু’দিনের কর্মসূচির পর ১৪ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী (TMC Suprimo) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (
Mamata Banerjee)।
জানা গেল, শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ তৃণমূলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত করবেন আমহার্স্ট স্ট্রিট মোড়ে। তবে আদৌ কিসের প্রতিবাদ, সেটা পরিষ্কার নয়। আইনের আওতায় যাদের আনা হচ্ছে বা হবে সে নিয়েই তৃণমূলের ক্ষোভ।
পরপর দুই হেভিওয়েটের গ্রেফতারিতে দল যে বিপাকে পড়েছে এটা স্পষ্ট।কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বিজেপি বিরোধী হলেই সক্রিয়তা, বিজেপি দলের কেউ হলেই নিষ্ক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, “নিরপেক্ষ চেহারা হারাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। কেন্দ্রের অধীনস্থ সংস্থাগুলি নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে, দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। সব ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সবার সঙ্গে সমান ব্যবহার হোক। বিজেপি বিরোধী হলেই সক্রিয়তা, বিজেপি দলের কেউ হলেই নিষ্ক্রিয়তা। অসমের ক্ষেত্রে কেন নিষ্ক্রিয়?
ঝাড়খণ্ডের ধৃত বিধায়করা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর নাম করেছেন, সেখানে নিষ্ক্রিয় কেন? কেন নিষ্ক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি? কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি কেন্দ্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।’’