কলকাতাঃ প্রেমিকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তরুণী। দ্বারস্থ হয়েছিলেন Trinamool কাউন্সিলরের কাছে পাৰ্টি অফিসে। মীমাংসা করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু মীমাংসা তো দূরের কথা, উল্টে গণধর্ষণের (Gang rape) শিকার হলেন তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে West Bengal এর Paschim Medinipur জেলার খড়গপুরে।
শুধু তাই নয়, মুখ খুললে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তরুণী। গত তিন মাস ধরে মুখ বুজে থাকার পর শেষমেশ বাধ্য হয়ে Paschim Medinipur জেলার পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখে সুবিচার চেয়েছেন তিনি।
ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করা হলেও বাকিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে জানা গেছে। Paschim Medinipurএর পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারিণী তরুণীর সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়্গপুর) রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তরুণী একাধিক অভিযোগ করেছেন। সবই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, বছর পাঁচেক আগে স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি বাপের বাড়িতে চলে যান। সেখানেই তাঁর সঙ্গে এস অলোক কুমারের সঙ্গে পরিচয় ঘটে। পর্বর্তীকালে পর্যায়ক্রমে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তার পর থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিক বার সহবাস করেন অলোক। প্রতিশ্রুতিভঙ্গ করায় যা অভিযোগপত্রে ধর্ষণ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। তৃণমূল কাউন্সিলর মুকেশের কাছে সেই অভিযোগই জানাতে গিয়েছিলেন মহিলা। সেখান থেকেই তাঁকে গত ২৫ জুলাই দুপুরে পার্টি অফিসে আসতে বলা হয়। বলা হয়, সব পক্ষের উপস্থিতিতে মীমাংসা করা হবে।
মীমাংসা তো দূর অস্ত তাঁকে শারীরিক হেনস্থা হতে হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খড়্গপুর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মুকেশ হুমন। তাঁর দাবি, তাঁর এবং তাঁর দলের নাম খারাপ করতে চক্ৰান্ত করা হচ্চে। বিরোধীরা হতাশায় ভুগে এসব করছেন।