পশ্চিমবঙ্গে লাগু হয়েছে মহামারী আইন (এনডেমিক ডিজিজেস অ্যাক্ট) । কিন্তু শিয়ালদহ রয়েছে শিয়ালদহেই!
করোনাকে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র তরফ থেকে ‘প্যাণ্ডেমিক’ হিসেবে ঘোষণা করার পরও পশ্চিমবঙ্গে শিয়ালদহ স্টেশনে সতর্কতা কড়াকড়ি করা হয়নি। এ দৃশ্য বড় কটুভাবে রাজ্যবাসীর নজরে পড়ছে। ভয়ংকর আতংক গ্রাস করছে সকলকে।
এশিয়ার ব্যস্ততম রেল স্টেশন শিয়ালদহ। মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানে করোনা প্রতিরোধের জন্যে কোনপ্রকার সাবধানতা অবলম্বন করা হয়নি।
প্রত্যেক যাত্রী এবং জনগণের মুখে একই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। ভয়ানক অবস্থা দেখা যাচ্ছে স্টেশনে। পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই!
সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটারে সতর্কিত মানুষ অভিযোগ জানাচ্ছেন এভাবেইঃ
“প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা হু-এর কোনও কর্তা এখানে আসুন। তার পর টুলের উপর দাঁড়িয়ে বলুন, ‘আপনারা ভিড় এড়িয়ে চলুন।’ দেশের নাম ভারতবর্ষ। এবং স্টেশনের নাম শিয়ালদহ। এখানে এলে রোজই মনে হবে কালই বুঝি দেশভাগ হয়েছে।”
কী আশ্চর্য! যে মুহূর্তে সারা বিশ্ব করোনা প্রতিরোধের জন্যে সর্ব ক্ষমতা উজাড় করে দিচ্ছে, সে জায়গায় শিয়ালদহ স্টেশনের এমন মৃত্যুপুরী অবস্থা ভাবিয়ে তুলেছে রাজ্যবাসীকে।
চেনা ছবি পাল্টানোর কোন ব্যবস্থা হাতে নিচ্ছে না মমতা সরকার।
দেখা গেল, টিকিটঘরের কর্মীরা আরামে কাজ করে চলেছেন মাস্ক ছাড়াই। শুধু তাই নয়, তাঁদের দেওয়া হয়নি কোন ‘অ্যালকোহল স্যানিটাইজার’!
উল্লেখযোগ্য যে, স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে ১০ লক্ষেরও অধিক যাত্রী টিকিট কেটে থাকেন। স্টেশনে শুধুই মানুষের মাথা দেখা যায়। মানুষ চোখে পড়ে না। অগুণতি ভিড়।
ভয়ংকর অভিযোগ জানাচ্ছেন রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রেল কর্মীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ‘কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও স্যানিটাইজার দেওয়া হয়নি। ফলে নিজেদের সতর্কতা নিজেদেরকেই রক্ষা করতে হচ্ছে।’
উল্লেখ্য যে, এ পর্যন্ত ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৮-এ। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে প্রথম করোনা পজিটিভ একটি কেস পাওয়া গেছে। ফলে সাবধানতা তো রয়েছেই, শংকিতও হয়ে পড়ছেন রাজ্যবাসী!