ভারত সরকার এবার ১১ জন মহিলা বিজ্ঞানীকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য যে, তাঁদের মধ্যে ৩ জনই বাঙালি মহিলা বিজ্ঞানী।
দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১১ জন বিজ্ঞানীর নামে ‘চেয়ার প্রফেসর’ পদ চালু করে তাঁদের সারা জীবনের অনন্য; অসাধারণ কাজকে স্বীকৃতি দেবে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক।
স্বীকৃতি প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন স্বনামধন্যা ডাঃ কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় (চিকিৎসক), অসীমা চট্টোপাধ্যায় (রসায়ন), রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায় (ইঞ্জিনিয়ার), বিভা চৌধুরী (পদার্থবিজ্ঞান), অর্চনা শর্মা (কোষ জিনতত্ত্ব), জানকী আমাল (উদ্ভিদবিজ্ঞান), দর্শন রঙ্গানাথম (জৈব রসায়ন), রমন পরিমালা (গণিতজ্ঞ), কমল রণদিভে (মেডিসিন), ইরাবতি কারভে (নৃতত্ত্ববিজ্ঞান), আন্না মনি (আবহাওয়াবিজ্ঞান)।
৩ বাঙালি বিজ্ঞানীসহ বাঙালি গৃহবধূ হিসেবে রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায় তাঁর নিজস্ব কর্মজগতে বহুক্ষেত্রে বহু অবদান রেখে গিয়েছেন।
অত্যন্ত গর্ব এবং অনুপ্রেরণামূলক বিষয়গুলো ভারতের নারীকে আরো আরো পথ দেখাতে সাহয্য করবে।
দেশের প্রথম মহিলা চিকিৎসক হিসেবে ১৮৮৬ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্নাতক হয়ে কাজ শুরু করেছিলেন ডাঃ কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়।
অন্যদিকে অসীমা চট্টোপাধ্যায় দেশের প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে ১৯৪৪ সালে ভারতের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডিগ্রি (ডক্টরেট অব সায়েন্স) পেয়েছিলেন।
বাঙালি বিজ্ঞানী বিভা চৌধুরি ১৯৪৯ সালে দেশের প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চে (টিআইএফআর)।
নারী সকল দিকে, সকল পথে এগিয়ে চলেছে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি অতিক্রম করে। তবে বাধা বর্তমান একবিংশ শতাব্দীতেও কিছু কমে যায়নি। কারণ আনাচে-কানাচে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ হয়ে চলেছে। সমাজ সেদিনই সভ্য হবে যেদিন নারীর ওপর অত্যাচার বন্ধ হবে।
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাঁদের নামে ‘চেয়ার প্রফেসর’ চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়ে গেছে।
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের কথা মাথায় রেখে, দেশের মহিলা বিজ্ঞানীদের সম্মানিত করার জন্যে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।