কেন্দ্রের সরকার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করার জন্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ২২ জানুয়ারি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশে বসবাসরত বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীরা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে একজন সদস্য একদিকে আপ্লুত অন্যদিকে কান্নাভেজা কন্ঠে বলেন, তাঁদের পরিবার ১৯৬৪ সালে ভারতে এসেছিল। ভারতে আসার সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৮।
তিনি বাংলাদেশের সেই অত্যাচারের কথা বলতে বলতে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন। “সে সময় আমরা বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠদের কাছ থেকে প্রবল নির্যাতনের বলি হয়েছিলাম। মহিলাদের ধর্ষণ করা হয়েছিল এবং শিশুদের নির্মম হত্যা। বহু লোককে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্যে বাধ্য করা হয়েছিল।”
তিনি আরো বলেন, চারপাশে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে আমার বাবা ভারতে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন।”
সে সময় পূর্ব পাকিস্তানের খুলনা, যশোর এবং ফরিদপুর অঞ্চল থেকে প্রায় ২০০ পরিবার ভারতে এসেছে বলে তিনি বলেন।
“আমাদের পরিবার পূর্ব পাকিস্তানের ফরিদপুর অঞ্চল থেকে আসা।” উত্তর প্রদেশের ক্ষেত্রী জেলার লখিমপুরে বসবাসরত এক ব্যক্তি জানান।
“বর্তমানের ছত্তিশগড়ে যখন শিবির স্থাপন করেছিলাম তখন আমার বয়স ছিল ১৪ বছর।” পাশাপাশি এ কথাও জানান তিনি।
তাঁরা প্রত্যেকে ভারত সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রশংসা করে জানিয়েছেন, আই আইন আমাদের সম্মান, সুবিধা এবং মান্যতা দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন যে, শরণার্থী দলটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর তাঁদের চোখ দিয়ে জল ঝরছিল। আমার বলার কোন ভাষা নেই।